বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। এদিন পালটা বাংলার মানুষের তরফে অখিলেশকে ধন্যবাদ জানান মমতা। অখিলেশ লিখেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের অভিনন্দন। এক মহিলাকে বিজেপির ‘দিদি ও দিদি’ বলে অপমান করার জোরাল জবাব দিয়েছে বাংলার জনতা।'
advertisement
আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব একটি ট্যুইট বার্তায় মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, "আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এ এক ঐতিহাসিক জয়। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। বিজেপির বিতর্কিত ও বিভাজনমূলক প্রচারের বিভ্রান্ত না হওয়ায় বাংলার মানুষকেও ধন্যবাদ।' এদিন মমতা পালটা লিখেছেন, 'বাংলা এবার ভারতকে বাঁচাতে ভোট দিয়েছে। লালুপ্রসাদ জি আপনাকে ধন্যবাদ। আপনারও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।'
এমকে স্ট্যালিনকেও তামিলনাড়ু জয়ের জন্য পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা। ওমর আবদুল্লাকেও প্রত্ত্যুত্তরে লিখেছেন, 'বাংলার মানুষ বিভাজনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে এবার। এখানে বরাবরের শান্তি বজায় থাকবে।' রাহুল গান্ধীকেও ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা ট্যুইটে লেখেন, 'বাকি দেশকে পথ দেখাল বাংলা। বিজেপির হিংসার রাজনীতি খুব শীঘ্রই দেশ থেকে দূর হবে।'একে-একে তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল, হেমন্ত সোরেন, নবীন পট্টনায়ক, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও।
প্রসঙ্গত, রবিবার ফল ঘোষণার শেষ দিকে মমতা প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেই বলেছিলেন, 'গোটা দেশের নিরিখে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা মানুষের আশীর্বাদে সেই নির্বাচন জিতেছি। গোটা দেশের মানুষের জন্য এই নির্বাচন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।' তাহলে কি এবার লক্ষ্য দিল্লি? সেই সম্ভবনা উড়িয়ে দেননি মমতা। তবে এখন প্রথম কাজ করোনা মোকাবিলা, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। বস্তুত দেশের বিজেপি বিরোধীদের কাছে মমতাই এখন প্রধান মুখ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জয় অনেকটা আফিমের নেশার মতো, যা কিছু মানুষকে মারাত্মক এনার্জি দিয়ে থাকে। মমতার কাছেও নির্বাচন জয় অনেকটা তেমনই। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের সার্বিক চেষ্টাকেও প্রতিহত করে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই UPA-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে সনিয়া গান্ধির জায়গায় মমতাকে আনার আওয়াজও উঠছে। অর্থাৎ, বাংলা জয় করে এবার সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে রোখার চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছেন মমতা। এখন চলছে সেই সলতে পাকানোর কাজ।