উত্তরে টালা সেতু এবং দক্ষিণে মাঝেরহাট সেতু। এই দুই সেতু নিয়ে এই মুহূর্তে মাথাব্যাথা কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের। যান নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যত কালঘাম ছুটছে কলকাতা পুলিশের।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে শুরু করে রাজ্য। আর তা করতে গিয়েই, নজরে আসে দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টালা সেতুর বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি। সেতুর ওপর যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
advertisement
টালা সেতুতে আদৌ লেভেলক্রসিং হবে নাকি হবেনা তাই নিয়ে একাধিক আলোচনা, বৈঠক হয়েছে রাজ্য ও রেলের তরফে। ২ জানুয়ারি পূর্ব রেলওয়ের সদরদপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় রাজ্য ও রেলের মধ্যে। রাজ্যের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। ছিলেন রাজ্যের পুর্ত দফতরের আধিকারিকরাও। বৈঠকে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
টালা সেতু এবং মাঝেরহাট সেতুকে যত দ্রুত সম্ভব পুনর্নির্মাণ করা যায় তাই এখন অন্যতম লক্ষ্য রাজ্যের। তাই কাজের বিভিন্ন পদ্ধতিগত টুকিটাকি বিষয়কে পিছনে ফেলে দরপত্র আহ্বান নতুন টালা সেতুর। পাশাপাশি সেতুর পুনর্গঠনে গতিও বাড়াতে চায় রাজ্য। রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের তরফে দরপত্র আহ্বান করে বলা হয়েছে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এমন কথা বলা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করতে ২ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপাতত ২০২২ এর শুরুতেই ঝাঁ-চকচকে নতুন টালা সেতুর নির্মান শেষ হতে পারে।
ARNAB HAZRA