লাল ফিতের ফাঁস, দীর্ঘসূত্রিতা আর যখন তখন কর্মবিরতি-হরতাল-বনধ। চৌত্রিশ বছরের বাম জমানায় ঠান্ডা ঘরে চলে গিয়েছিল বাংলার শিল্প সম্ভাবনা। গোটা দেশের মধ্যে শিল্প সম্ভাবনা তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছিল তিরিশ নম্বরে। বাংলায় পালা বদলের পর নতুন সরকারের কাছে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার ভাবমূর্তি উদ্ধার করাই ছিল অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৭-তেই শিল্প সমৃদ্ধ পশ্চিমের রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে সহজে বাণিজ্যের সুবিধা প্রদানে তিন নম্বরে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ। অবশেষে লক্ষ্যভেদ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পনীতি মন্ত্রকের রিপোর্ট, শিল্পপতিদের সহজে বাণিজ্যে সুবিধা প্রদানে এখন শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৯৯.৭৩ শতাংশ। মূলত
advertisement
- সরকারি তথ্য প্রকাশ ও তার স্বচ্ছতা
- এক জানলা নীতির সফল রূপায়ন
- জমির চাহিদা পূরণ
- দ্রুত নির্মাণকাজের অনুমতি
- পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
এই বিষয়গুলিকেই নজরে রেখে তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়। জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের শুরু থেকেই নীতি ছিল, জোর করে ফসলি জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। শিল্পের জমি জমিদাতাদের থেকে কিনতে হবে শিল্পপতিদেরই। শিল্পের লক্ষ্যে জমি-ব্যাঙ্ক তৈরি করে রাজ্য সরকার। জমি নীতি নিয়ে নানা সমালোচনাতেও পিছু হঠেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিপোর্টে খুশি মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রত্যয়ই ধরা পড়েছে দার্জিলিঙের শিল্প সম্মেলনে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই রিপোর্ট স্বাভাবিকভাবেই শিল্পপতিদের পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে ধারণা বদলাতে সাহায্য করবে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, এই সাফল্য রাজ্যের পক্ষে যথেষ্ট ইতিবাচক এবং বিনিয়োগের অনুকূল।
ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার লেখেন, ‘‘শিল্পোদ্যোগে দেশের মধ্যে বাংলা প্রথম ৷ শিল্পবন্ধু রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলেছে বাংলা ৷ কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই সেটার উল্লেখ রয়েছে ৷ তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে রাজ্যের সচিবালয় পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই আমাদের প্রতিনিয়ত নজরদারিতে এই সাফল্য এসেছে ৷ প্রত্যেক প্রজেক্ট যাতে ঠিক সময় শেষ হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য ৷ এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে ৷ সবাইকে আমার শুভেচ্ছা রইল ৷ ’’
