মুখ্যমন্ত্রী এমনিতেই ফিটনেস সচেতন। তিনি হাঁটতে ভালোবাসেন। নিয়ম করে ট্রেড মিল করেন। পাহাড়ে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে হাঁটেন। সাথে যাঁরা থাকেন তাদেরকেও হাঁটার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। তবে শুধু পাহাড়ে গিয়ে হাঁটা নয়, যেখানেই তিনি যান না কেন হাঁটা মাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশেষ করে ভোটের সময় বা বিশেষ বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে তিনি যেভাবে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে চলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা আছে যথেষ্ট।
advertisement
যেহেতু তিনি হাঁটতে ভালোবাসেন তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে ফিটনেস ট্র্যাকার সেই জন্যেই তিনি পড়েছেন।ফিটনেস ট্র্যাকার অবশ্য এখন স্টাইল স্টেটমেন্ট। টিন এজ থেকে শুরু করে মধ্য বয়স্ক মানুষ প্রত্যেকেই এটা ব্যবহার করেন। আর যেহেতু স্মার্টফোনের যুগ, তাই স্মার্টওয়াচ এখন অনেক সময় ফিটনেস ট্র্যাকার হিসাবেই কাজ করে।
কী কী থাকে এই ফিটনেস ট্র্যাকারে? এখানে সময় দেখা যায়। জিপিএস সেটিংস করলে লোকেশন বোঝা যায়। কে কত পা হাঁটছেন বা দৌঁড়ে যাচ্ছেন সেটাও আপ টু ডেট ধরা পড়ে সমস্ত তথ্য। একই সাথে কিছু ফিটনেস ট্র্যাকারে ব্লাড প্রেশার, ঘুমের সময়, অ্যালার্ম হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। একাধিক সংস্থার এই ফিটনেস ট্র্যাকার পাওয়া যায়। এমনকি পছন্দ অনুযায়ী বেল্ট বদলে নেওয়া যায়। সে রকমই একটা ফিটনেস ট্র্যাকার দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। রাজ্যের শাসক দলের বেশ কিছু নেতা-নেত্রীর হাতে দেখা যায় ফিটনেস ট্র্যাকার। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যবহার করেন এই ফিটনেস ট্র্যাকার। বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এদের হাতেও দেখা যায় ফিটনেস ট্র্যাকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, ফিটনেস ট্র্যাকার উনি ব্যবহার করছেন কত পা উনি হাঁটছেন সেটা বুঝতেই।