আরও পড়ুন- ২০২২ সালে সোনাই কি সবচেয়ে বেশি লাভ দেবে? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
আসানসোল লোকসভা আসন কোনও দিনই জেতেনি তৃণমূল। বামেদের থেকে বিজেপি হয়েছে এই আসন। দোলা সেন, মুনমুন সেনের মতো প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন দু'বারই বাবুল সুপ্রিয়ের কাছে। সেই বাবুল এবার দল বদল করে প্রার্থী বালিগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে। বাবুল অবশ্য নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যা মনে করিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাবুল তাঁর মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন ৷ সেই বাবুল বালিগঞ্জে লড়াই করছেন। ভোটের আগের দিন অবশ্য হালকা মেজাজেই ছিলেন তিনি৷ যোগাযোগ রেখে চলেছেন এই ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেবাশিষ কুমারের সঙ্গে। দিনভর কথা বলেছেন ইলেকশন এজেন্ট থেকে বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কাউন্সিলরদের সঙ্গে ৷
advertisement
আরও পড়ুন-রাজ্যে এবার বসতে চলেছে শিল্প মেলার আসর, চলবে ৫ দিন ধরে
বাবুলের আগের পরিচয় অর্থাৎ বিজেপির সময়ের ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে প্রচার চালালেও। বাবুলের সবচেয়ে বড় ভরসা সেই তৃণমূলের সংগঠন। প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়া পুর ভোটেও সব ওয়ার্ডে কার্যত ভালো ফল করেছে জোড়া ফুল শিবির। অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা আসন ২০১৪ ও ২০১৯ দু'বারই জিতে নিয়েছে বিজেপি। বাবুলের দক্ষতা তাতে অন্য মাত্রা যোগ করেছিল।
এবারও আসানসোলে প্রার্থী ওই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা বিধানসভার বিধায়ক। এই আসনকে প্রেস্টিজ ফাইট ধরেই প্রচারে প্রথম থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি৷ অগ্নিমিত্রা পালের হয়ে প্রচারে নেমেছেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা। তবে তারকা তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা অবশ্য ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংগঠনের পক্ষেই। তাই ভোটের আগের দিন দিনভর নিজে ব্যস্ত থাকলেন হোটেল থেকেই তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট-সহ মলয় ঘটক ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে।