সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বহু বুথে যে ভাবে পৌঁছতে পারেনি পদ্ম ব্রিগেড তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমন অবস্থা যে, খামতির কথা বৈঠকের 'রিপোর্টিংয়ে' পর্যন্ত উল্লেখ করা হল। কত বুথে যাওয়া যায়নি সেই হিসেবও পাওয়া যায়নি জেলাগুলির কাছ থেকে। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ রাজ্য নেতাদের বলেন, 'যে বুথে পৌঁছনো যায়নি সেজন্য আবার একদফায় এই বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি নিতে হবে'।
advertisement
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই চরম গরম রাজ্যে, কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা! আবহাওয়ার আপডেটে চামড়ায় 'জ্বালাতঙ্ক'
এদিনের বৈঠকে সকলকে খবর দেওয়া হয়নি বলে দলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বলে খবর। এদিকে, বুথ কমিটির রিপোর্ট সত্য না কি জল মেশানো রয়েছে তা নিয়ে সম্প্রতি দলের ভার্চুয়াল বৈঠকেও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে। জেলা সভাপতি, বিভাগ ও জেলা ইনচার্জদের উপস্থিতিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতার এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। সূত্রের খবর, ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: ভোট এলেই মমতার পায়ে কী হয়! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর! ফিরে এল নন্দীগ্রাম-স্মৃতি
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্য উপস্থিত ছিলেন। ৫০ শতাংশর মতো বুথে কমিটি হয়েছে, এই রিপোর্ট শোনার পরই মঙ্গল পাণ্ডে রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘রিপোর্টিং তো খুব ভাল হয়। কিন্তু দেখতে হবে এতে কতটা সত্যতা আছে। পুরোটা যাচাই করা হবে।’’ এরপর প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ বিজেপি। বাস্তবেও দেখা গিয়েছে, নিচুতলায় সংগঠন বলে কিছু নেই। বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের আগে ২৫ শতাংশ মতো বুথে কমিটি হয়েছিল। এবার দাবি করা হয়েছে, ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি হয় গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্টের উপর যে কেন্দ্রীয় নেতারা আর বিশ্বাস করছেন না তা কার্যত স্পষ্ট।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী