ইতিমধ্যেই দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করা হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তকে। কিন্তু সেই শোকজের জবাব তাঁরা এখনও দেননি। বিজেপি সূত্রের খবর, আর কিছুদিন অপেক্ষা করা হবে, তারপরই এই দুই নেতাকে বহিষ্কারের পথে হাঁটতে পারে গেরুয়া শিবির। আর সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন, ফলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিয়ে দলের সর্বস্তরে বার্তা দেওয়া হতে পারে।
advertisement
ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজীবের নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'কিছু কিছু লোক আছেন যারা ঠিক করতে পারছেন না কোথায় যাবেন, কী করবেন? উনি তো দলের কোনও পদাধিকারী নন।' বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বিরোধী নেতাকে বলব…. যার নেতৃত্বে ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ নাকরে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এর আগেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা না করে দলীয় নেতৃত্বকে আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন একদা ডোমজুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী। এমনকী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনঘন সাক্ষাৎও গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্বই স্পষ্ট করছে। অপরদিকে, সব্যসাচীও দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের পুরনো অংশ থেকে রাজীব, সব্যসাচীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি উঠেছে। সূত্রের খবর, সেই ব্যবস্থা নিতে আর দেরি করতে চাইছেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা। কেন্দ্রীয় স্তর থেকে বার্তা এলেই রাজীবদের বহিষ্কারের পথে হাঁটতে পারে গেরুয়া শিবির।