গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছি। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বক্তব্য ছিল, অযোগ্য সাংগঠনিক নেতৃত্ব হলে অযোগ্যদের রাখবে। যোগ্যদের রাখলে এদের দাম থাকবে না। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন সৌমিত্র। তবে শুধুমাত্র সায়ন্তন কিংবা সৌমিত্রই নয়, নানা সময় নানাভাবে বিজেপির অন্দরেই যেভাবে ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে আসছিল তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
advertisement
ঘরোয়া কোন্দল সামাল দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এবার উদ্যোগী হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রের। একুশের বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই পদ্মের ঘরে ক্ষোভ। তারপর একের পর এক ভোটে হারের মুখ দেখেছে বিজেপি। মুখ খুলেছেন একের পর এক নেতা। অনেকের মতে, যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদ্ম শিবিরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার আসরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নেতাদের ক্ষোভ কমাতে অবিলম্বে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ নেতৃত্বকে বলে খবর।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ পঞ্চায়েত, প্ল্যান সাজাচ্ছে বিজেপি! নির্দেশ আসছে দিল্লি থেকে
বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরি করতে হবে। তালিকা ধরে এই নেতাদের কাছে যেতে হবে বঙ্গ নেতৃত্বকে। কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করতে হবে। এখানেই শেষ নয়। নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার কথা বিজেপির। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, যে সমস্ত নেতা এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। এবং এই আন্দোলনে শামিল করতে হবে। পুরভোট থেকে উপনির্বাচন। লাগাতার পরাজয়ের মুখে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তো সরাসরি চিঠি দিয়েছেন জে পি নাড্ডাকে। সেই চিঠিতে বঙ্গ বিজেপি এখন ৫-৬ জন নবাগত নেতার সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলনেতা এবং কিছু সাংসদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এমন ভাবে আক্রমণ করছে যেন মনে হচ্ছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। তবে বিজেপি নেতৃত্বের মানভঞ্জনের উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হয় তার উত্তর দেবে সময়ই।