কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি প্রায় চূড়ান্ত। আরএসএসের হস্তক্ষেপে নয়া কমিটিতে অনেকটাই প্রাধান্য পেতে চলেছে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর দেওয়া নামের প্রস্তাব। আরএসএসও এবার শমীকের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা হতে চলেছে রাজ্য কমিটির পদাধিকারীদের নাম। প্রায় চারমাসের টানাপোড়েনের পর অবশেষে প্রায় চূড়ান্ত বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি।
advertisement
বিজেপি সূত্রের খবর, ৫ কিংবা ৬ নভেম্বর কিংবা তার দু-একদিন আগে ঘোষণা করা হতে পারে নতুন রাজ্য কমিটির নামের তালিকা। দলের অন্দরে মতান্তর সরিয়ে বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর মতামতকে অনেকটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বঙ্গ বিজেপির অন্দর সূত্রের খবর, বিদায়ী কমিটিতে ছড়ি ঘোরানোর অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখার। তাঁদের ঘনিষ্ঠদের রেখে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বরাবরই চেয়ে এসেছেন পুরনোদের সসন্মানে পদে ফিরিয়ে আনতে এবং যোগ্য নতুনদেরও রাখতে। আর শেষপর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব নতুন রাজ্য সভাপতির মতামতকেই প্রধান্য দিয়েছেন। ফলে পদ খোয়াতে চলেছেন আগের ক্ষমতাসীন শিবিরের অনেককেই।
আরও পড়ুন: ‘মুখ তো নীতীশ, কিন্তু রিমোট কন্ট্রোল..,’ বিহারে প্রথম প্রচারে রাহুল গান্ধি, পাশে তেজস্বী
শেষ পর্যন্ত কোনও বদল না হলে, আগের ক্ষমতাসীন শিবিরের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও দলের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়তে চলেছেন তিন নেতা। যাঁদের মধ্যে দু’জন বিধায়কও রয়েছেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় স্বপদে বহাল থাকছেন বলে খবর।
সুকান্ত মজুমদারের জমানায় সাসপেন্ড হওয়া রীতেশ তেওয়ারির সাসপেনশন উঠতে চলেছে। রীতেশকে সাধারণ সম্পাদক পদে চেয়েছে টিম শমীক। বর্তমান সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন সাধারণ সম্পাদক পদে। দলের সিনিয়র নেতা রাজকমল পাঠক, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন যুব মোর্চা সভাপতি অমিতাভ রায় জায়গা করে নিতে চলেছে রাজ্য কমিটিতে। আবার দলের আইনজীবী নেতা তথা অন্যতম মুখপাত্র দেবজিৎ সরকারকে অন্যতম সম্পাদক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে বড় ঘোষণা! নীতীশ নিয়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত, ‘কোনও আসন খালি থাকবে না’
মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ফের প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ভাবা হয়েছে। তবে রূপা সেই দায়িত্ব নিতে খুব একটা রাজি নয় বলেই জানা গিয়েছে। বঙ্গ বিজেপিতে পরিচিত মুখ সায়ন্তন বসুকে সহ-সভাপতি অথবা মুখপাত্র হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেন বঙ্গ বিজেপিতে। প্রবাল রাহা, তরুণজ্যোতি তেওয়ারিরাও কমিটিতে আসছেন। সহ-সভাপতি পদে থাকা ৯ জনের মধ্যে ৪ জন বাদ পড়ছেন। সম্পাদকপদে ১১ জনের মধ্যে বাদ পড়ছেন ৫ জন।
অফিস সম্পাদক পদেও রদবদল হতে চলেছে। তবে একেবারে আমূল পরিবর্তনের দিকে হাঁটছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কাজেই পুরনো কমিটির কিছু মুখের পদের ক্ষেত্রে রদবদল করা হচ্ছে। যাতে সেভাবে কারও ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখছে শীর্ষ নেতারা।
