শমীক ভট্টাচার্য একইসঙ্গে বলেন, “তবে বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তার। সমালোচনা করার অধিকারও সবারই আছে। দাবি জানানোর অধিকারও সবার আছে।” তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে শমীক এও বললেন, “কারা প্রশ্ন তুলছেন। যে রাজ্যে বল ভেবে বোমার শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক শিশুর! সমাজ বিরোধীরা যে ভাবে প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে বাংলার মানুষেরই কোনও নিরাপত্তা নেই।”
advertisement
আরও পড়ুন : ‘৩৭০ একটি কলঙ্ক ছিল…’ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গ পদ্ম শিবির বলছে, “একজন সজ্ঞানে বিদেশের একজন ব্যবসায়ীকে পাসওয়ার্ড শেয়ার করলেন। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষাকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। আর যিনি একজন বিজেপি সাংসদ পাস দিয়েছেন সংসদরা অনেকেই পাস দেন। কিন্তু দুটি বিষয়কে যে ভাবে তৃণমূল এক জায়গায় আনছে তা ঠিক নয়। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে। এর সঙ্গে বিজেপি সাংসদের বহিষ্কারের যে দাবি উঠছে তা অমূলক।”
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদের বহিষ্কারের দাবি তুলে তৃণমূল শিবির বলছে, “যারা আক্রমণ করলেন তারা তো সাংসদ নন৷ নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে কী করে সংসদে ঢুকে পড়লেন তাঁরা? বিজেপি সাংসদ প্রবেশ করার জন্য এদের পাস দিলেন৷ জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হল৷ এই বিজেপি সাংসদকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত।”
বলা বাহুল্য, সংসদে নিরাপত্তার ফাঁক নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বুধবারের ঘটনা৷ আর এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে এক বিজেপি সাংসদের নাম৷ ফলে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে আরও বেশি করে অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির৷ সংসদে ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে নীচে লাফ দিয়ে এবং প্রতিবাদ করে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের লোকসভায় প্রবেশের পাস দেওয়া হয়েছিল মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে৷ এই তথ্য সামনে আসার পরই বিজেপি সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরা৷