শমীক ভট্টাচার্য এদিন আরও বলেন, ‘‘যে গর্ভ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছে সেই কংগ্রেস একসময় যারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করার চক্রান্ত করেছিল। সেই দলের ডিএনএ বহনকারী তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার নেই এই ধরনের প্রস্তাব বিধানসভায় আনার। সরকারি টাকা অপচয় করে, সময় নষ্ট করে সোমবার যারা বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব নিয়ে এল তারা বিধানসভার গরিমাকে নষ্ট করল।’’ শাসকদলের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে গতকাল তুমুল হট্টগোল হয় বিধানসভায়। বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে বিজেপি বিধায়কেরা তুমুল শোরগোল করেন। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য বিজেপি বিধায়কেরাও। এদিন আলোচনায় ওঠে জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গও।
advertisement
বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। প্রস্তাবের সপক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘জন বারলা মানুষকে ভুল বোঝাতে শুরু করেন। পৃথক উত্তরবঙ্গের কথা বলেন। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়কও বাংলা ভাগের কথা বলেন।’’ এরপরেই ধনখড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পিছন থেকে সাপোর্ট করতেন।’’
আরও পড়ুন- আজ থেকে শুরু কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবা, উত্তরের উড়ান ঘিরে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা
বিজেপি বিধায়কেরাও এদিন অংশ নন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আলোচনায়। বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা থেকে দীপক বর্মণ উত্তরবঙ্গের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন অধিবেশন কক্ষে। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাকি বিজেপি বিধায়কেরা। শেষে অবশ্য জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ রেকর্ড থেকে বাদ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বাংলার পদ্ম শিবির বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘‘বঙ্গভঙ্গ তারা কখনোই সমর্থন করেন না। যারা এই কথা বলছেন সেটা তাদের নিজেদের মত। দলের কথা নয় ৷’’
