প্রতিবারই কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে রাজ্য বিজেপি। এবছরও করা হবে। তবে এবার বিশেষভাবে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর উপরই বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন জনসংযোগ আর অন্যদিকে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোই মূল লক্ষ্য বিজেপি শিবিরের বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই প্রাক পুজো সম্মিলনীর পর এবার জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীত আয়োজনেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পদ্ম শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: আরও কয়েক গুণ চাপ বাড়াল সিবিআই, অনুব্রতর সঙ্গে জুড়ে গেল হাওয়ালা-যোগ!
উৎসবের মরশুমকে জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। প্রথমে প্রাক পুজো সম্মিলনী। যে কর্মসূচির 'মুখ' হিসেবে বিজেপি তুলে ধরেছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। রাজ্যে একাধিক প্রাকপুজো কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। উৎসবের মরশুমে জনসংযোগের লক্ষ্যে তাই মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে এনে বাংলা ও বাঙালির আবেগকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয় বাংলার পদ্ম শিবির। আর এবার বিজয়া সম্মিলনী।
আরও পড়ুন: টানা সাড়ে চার ঘণ্টা, কার্নিভালে চমক দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যদিও এই কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য পদ্ম নেতারাই জেলায় জেলায় অংশ নেবেন বিজয়া সম্মিলনীতে। বিজেপি সূত্রের খবর, সংগঠনের ৪২ টি সাংগঠনিক জেলাতেই হবে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগেই জোর দিয়ে সংগঠনকে মজবুত করার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলায় শনিবার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তবে শুধু শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলাই নয়, কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যজুড়েই বিজয়া সম্মিলনীত বিশেষ নজর পদ্ম শিবিরের। গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে জেলার বেশ কিছু আসন জিতেছিল বিজেপি প্রার্থীরা। তবে গত পুর নির্বাচনে সেই সব এলাকাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে পদ্ম শিবির। তাই পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যেই কোমর বাঁধতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।