রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত ছিল, এরাজ্যে সেভাবে কোনও মুখ ছিল না, মোদি আর বিজেপির ‘বহিরাগত’ নেতাদের এনে প্রচারই কাল হয়েছিল। তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ এ রাজ্যের যারা বিধায়ক সাংসদ রয়েছেন তাঁদের দিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আগে বিরাট স্ট্র্যাটেজি তৃণমূলের! পুরনো ‘ভুল’ আর নয়, রবিবারই ঘুরতে পারে ‘খেলা’
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় সভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে বঙ্গ পদ্ম নেতাদেরই মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মূলত ২০২৪-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এ মাসেই বঙ্গ সফরে আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে একাধিক বড় নেতাদের। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সেই সমস্ত নেতাদের বঙ্গ সফর বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মজা দেখাব, অপেক্ষা করুন’, কাকে বললেন শুভেন্দু অধিকারী! ‘আড়ং’ নিয়ে তুমুল চ্যালেঞ্জ
সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রচার থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার যাবতীয় সম্পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র বঙ্গ বিজেপির নেতারাই। একদিকে বিজেপির নড়বড়ে সংগঠন, অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতে ‘বহিরাগত’ নেতাদের প্রচারে দেখা না মিললেও পঞ্চায়েত ভোটে সেই মোদির উপরই অনেকটা ‘ভরসা’ রাখছে বঙ্গ বিজেপি। একদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ইস্যু যেমন তুলে ধরা হবে প্রচারে, পাশাপাশি মোদি সরকারের বিভিন্ন গ্রাম বাংলার উন্নয়নমূলক প্রকল্পও প্রচারে হাতিয়ার করতে চলেছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। এমনটাই খবর উঠে আসছে বিজেপির অন্দরমহল থেকে।