১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযান কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ। প্রত্যেকেই জেলায় জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন। কোথাও করছেন জনসভা। আবার কোথাও বা নবান্ন অভিযানের সমর্থনে মিছিল। নবান্ন অভিযান উপলক্ষে মেগা প্রচার অভিযানে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে জঙ্গলমহলকে। একুশের কুরুক্ষেত্রে দুশো পারের লক্ষ্য নিয়ে যু্দ্ধে নেমে অনেক আগেই থামতে হয় বিজেপিকে। তারপর থেকে একের পর এক নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি ধরাশায়ী।
advertisement
সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোট। তারপরের বছর লোকসভার মহারণ। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা। বারেবারে গোষ্ঠীদ্বন্দে জেরবার। বঙ্গ বিজেপির এই অনৈক্যের ছবি বারবারই অস্বস্তিতে ফেলছে পদ্মের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈদিক ভিলেজের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষকে কড়া বার্তা দিতে হয়েছে।
একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও। কোন্দল ভুলে একসঙ্গে কোমর বেঁধে নামার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই নির্দেশের পরই এক হয়ে নেতারা নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেকের পঞ্চায়েত প্রস্তুতি বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর, আজ বৈঠকে বিজেপি
নবান্ন অভিযান সফল করতে এখন বিজেপি মরিয়া। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে গণ-আন্দোলনের চেহারা দিতে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে এখন ছুটে বেড়াচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বঙ্গ বিজেপির নেতারা হুঁশিয়ারিও দিয়ে বলেছেন, অভিযানে বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে। সব মিলিয়ে ১৩ তারিখের নবান্ন অভিযান বঙ্গ বিজেপির কাছে কার্যত শক্তি প্রদর্শন।