বুথ কমিটির পর্যালোচনা করার জন্য 'সরল' অ্যাপের ব্যবহার করছে বিজেপি। ৪২ টি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন মন্ডল, শক্তি কেন্দ্র এবং বুথের হিসাব থাকবে এই অ্যাপে। বুথ সশক্তিকরনের খসড়া অনুযায়ী, বুথ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে গেলে কর্মীদের মিসডকল দিয়ে হতে হবে সদস্য, ফোনে থাকতে হবে 'নামো' অ্যাপ। প্রতি বুথে মোটরবাইকসহ অন্তত ৫০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা। বুধকর্মীদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে মন্দির, মঠ ও আশ্রমের পুরোহিত ও পরিচালন সমিতির সঙ্গে। অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলে অন্তর্ভুক্তির কথাও তুলে ধরা হয়েছে 'গোপন' এক সার্কুলারে।
advertisement
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ-সহ তেলেঙ্গানা জুড়ে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টার, ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারী! তুমুল আলোড়ন
'বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে বুথের করণীয় কাজ' এর যে সার্কুলার হাতে এসেছে নিউজ এইট্টিন বাংলার। রাজ্য বিজেপির তরফে যে সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান নিয়মিত সংগঠিত করা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা সহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার নানান নির্দেশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,' আমাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য এই ধরনের বিষয় সামনে তুলে ধরা হয়েছে। একটা বুথের ডেমোগ্রাফি জানা থাকা খুব দরকার। আমাদের প্রয়োজনে সেখানে ব্যবহার করার মত কতগুলো বাইক রয়েছে, কর্মীদের হাতে স্মার্টফোন থাকছে কিনা, সেগুলো একটা দলের জানা থাকলে কোনও খবর বা নির্দেশ জানাতে সুবিধা হয়'। বুথে শক্তি বাড়াতে দলের সাংগঠনিক নেতাদের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে থাকতে বলা হয়েছে সাংসদ বিধায়কদেরও। এই তালিকায় বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান তিন মুখ শুভেন্দু- সুকান্ত- দিলীপরাও ঝাঁপাচ্ছেন বুথ শক্তিশালী করার অভিযানে।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে কেন হারল তৃণমূল? মমতার তৈরি কমিটির রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি! হইচই
বিজেপি সূত্রের খবর, আজ মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী অংশ নেবেন বুথ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলীয় বিশেষ কর্মসূচিতে। অন্যদিকে বিজেপির বুথ স্তরে কোনও সংগঠন নেই বলেই দাবি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। বুথ সশক্তিকরনের অভিযানে নেমে কোনও লাভ হবে না বলেও পদ্মফুল শিবিরকে কটাক্ষ করেছে জোড়া ফুল শিবির। বঙ্গ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বুথে সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। তাই নিষ্ক্রিয় বুথে প্রয়োজনে নতুন কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
সেই সঙ্গে পুরনো কর্মীদের দলে ফেরানো। নিবিড় জনসংযোগের পাশাপাশি পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বুথকে শত্তিশালী করার অভিযানে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হয় গেরুয়া শিবির, তার উত্তর দেবে সময়ই। মূলত পঞ্চায়েতের আগে বুথগুলির সাংগঠনিক অবস্থা বুঝে নিতেই এই অভিযান। এক কথায় বুথের শক্তি মেপে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই বঙ্গ বিজেপির এই বুথ সশক্তিকরণ অভিযান।