যুব মোর্চার নতুন সভাপতি করা হয়েছে বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল খাঁ। এদিকে মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর জায়গায় এলেন তনুজা চক্রবর্তী। এক ব্যক্তি এক পদ- নীতি মেনে অগ্নিমিত্রাকে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি থেকে সরিয়ে তনুজা চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌমিত্র খাঁ গত কয়েক মাসে বারবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। তাই জন্যই কি তাঁকে যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে অপসৃত করা হল! সহ সভাপতি পদে সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে রয়েছেন জগন্নাথ সরকার। লকেট চট্টোপাধ্যায় হলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
advertisement
সুকান্ত মজুমদারের ক্যাবিনেটে এম এল এ এম পি দের ভীড়। মাথা ভারী ক্যাবিনেট? রাজ্যের ৫ সাধারন সম্পাদকদের মধ্যে দুজন এম পি, লকেট ও জ্যোতির্ময়। দুই এম এল এ দীপক বর্মন ও অগ্নিমিত্রা। এর বাইরে শুধু জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০ সেপ্টেম্বর দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার তিন মাস পর বুধবার নতুন রাজ্য কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল বিজেপির তরফে। রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধাককে। প্রশ্ন একটাই, যে দল "এক ব্যক্তি এক পদ" এই নীতির কথা বলে, সেখানে সংসদীয় রাজনীতিতে যারা থাকবে তাদের আবার সংগঠনের পদে আনা হল কেন?
এই নিয়ে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে ক্ষোভ, বিক্ষোভ অনেক হয়েছে আগেও। তা সত্বেও যেভাবে বিধায়কদের সংগঠনে যুক্ত করা হল, তাতে দলের সংগঠনের রাশ, পরিষদীয় নেতৃত্বের হাতে গেল বলে আশঙ্কা করছে দলের একাংশ। যদিও, অন্যদের মতে, বিজেপি এখন পরিষদীয় দল। বিধানসভায় প্রায় ৭০ এর বেশি বিধায়ক। তাই এই সমন্বয় দরকার ছিল।
আরও পড়ুন- পুরভোটে লড়তে এসে জামানত খোয়ালেন ৭৩১ জন! নির্দলদের মতোই অবস্থা বিরোধীদেরও
দীর্ঘ তিন প্রজন্মের রাজ্য নেতা ( তপন শিকদার, রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষের সভাপতি থাকার সময়কালে) প্রতাপ ব্যানার্জীকে রাজ্য কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কলকাতা পুরভোট সংক্রান্ত সাংগঠনিক বৈঠকের খবর সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে যাবার পরেই তাঁকে কার্যত "সেন্সর" করা হয়। তাঁকে কলকাতা পুরভোটের কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতাপ ব্যানার্জীর স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রণয় রায়।
আরও পড়ুন- দল ও নিজের বড় জয়ের আনন্দ, নাতনিকে কাঁধে নিয়ে নাচলেন ফিরহাদ, দেখুন ভিডিও
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক। দলের অনেক বিধায়কদের নিয়ে আসা হল সম্পাদক পদে। তরুণ বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন শংকর ঘোষ, গৌরি শংকর ঘোষ, অশোক দিন্দা, বিমান ঘোষ। জয়প্রকাশ মজুমদার কে দলের মুখপাত্র করা হল। রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরই সায়ন্তন বসু বেরিয়ে গেলেন বিজেপির মিডিয়া গ্রুপ ছেড়ে। সহ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে। ব্রিদ্রোহী রাজকমল পাঠককে ছেঁটে ফেলা হল।