কোন কোন বুথের অবস্থা শোচনীয়, কেন সেখানে সংগঠন মজবুত করা গেল না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। সূত্রের খবর, দিল্লির নেতৃত্ব আসবেন প্রতি মাসে যে জেলায় সংগঠনের হাল ভাল করা সম্ভব হয়েছে, তৃণমূলের তরফে আক্রমণের শিকার বেশি, সেখানে সভা করবেন তারা। জেলা কমিটিতে স্থান পাবে কারা রাজ্য কমিটির সদস্য, কাদের রাখা হবে, নির্বাচনী প্রতিনিধি কারা হবেন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দিল্লি নেতৃত্বের সঙ্গে।
advertisement
অমিত শাহকে দেওয়া রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্টে বেশ কিছু জেলার বুথের শোচনীয় অবস্থা ধরা পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উলুবেড়িয়া, বসিরহাট, বারাসাত, দক্ষিণ কলকাতা শহরতলি (যাদবপুর, বারুইপুর), পশ্চিম বর্ধমানের কিছুটা অংশে বুথ সংগঠনের হাল অত্যন্ত খারাপ বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। পুজোর মধ্যে এই সকল বুথকে চাঙ্গা করতে হবে যে কোনও প্রকারে, রাজ্য নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে মুখ নরেন্দ্র মোদি, তাকে সামনে রেখেই জেলায় জেলায় সংগঠনের হাল ফেরাতে হবে। দলের শীর্ষ নেতাদের এমনই নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সকল জেলা নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন প্রতি মাসে জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে। বুথ সংগঠনের হাল হকিকত নিয়ে বারংবার বৈঠকে বসতে হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিজেপিকে। বুথ সংগঠনকে কেন শক্তিশালী করা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এ রাজ্যের গেরুয়া নেতৃত্বকে। তবে, পুজোর আগে বুথ সশক্তিকরণে যোগ দিতে বলা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের। শুধু তাই নয়, বঙ্গের পরিচিত এবং জনপ্রিয় নেতৃত্বকে নামতে হবে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে মজবুতের কাজে। তবে, পুজোর আগে বুথ মজবুত করতে কতখানি সক্ষম হয় বঙ্গ বিজেপি, সেটাই এখন দেখার।