সন্ধ্যার পরে বাইক গাড়ির ঠোকাঠুকি রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্য দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি নিয়ে চলছে রোজের পথ যাত্রা। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে নিত্যযাত্রীদের। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে এখন খানাখন্দে ভর্তি রয়েছে। যেখানে সেখানে ছোট-বড় গর্ত। তবে বরানগর স্টেশনের বেশ কিছুটা আগে থেকে বরানগর মেট্রো স্টেশনের পর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। ফি বছর বর্ষার আগে-পরে এমনই দশা হয় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের।
advertisement
রীতিমতো জীর্ণ কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে রাস্তার। গাড়ির ড্রাইভার থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রী, সবার মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ বেড়ে চলেছে। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে যারা সেক্টর ফাইভ, সল্টলেক ও বিমানবন্দরে যান, তাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি। এটি ন্যাশনাল হাইওয়ের একটি এক্সটেনশন রোড। এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে স্টেট হাইওয়ে ডিভিশন।বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার জন্য নতুন করে মেরামতির কাজ এখনো শুরু হয়নি। স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের বক্তব্য, এই রাস্তা বেশিদিন তৈরি হয়নি। যার ফলে মাটি বসছে। এছাড়াও এই হাইওয়ের ওপর দিয়ে ওভারলোড গাড়ির যাতায়াত করার ফলে রাস্তাটি নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন- মহালয়ার দিনেও স্বস্তি নেই! দুপুর গড়ালেই ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়...
যদিও এখন ওভারলোড গাড়ি বন্ধ। পূর্ণিমা ব্যাপারি, যিনি প্রতিদিন ডানলপ মোড় থেকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গাড়ি ধরেন। তাঁর সঙ্গে অন্যান্য সহযাত্রীদের বক্তব্য, এখান থেকে তাঁদের অফিস পৌঁছাতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট সময় লাগত। সেখানে এখন দু'ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। সব থেকে বড় বিষয়, যানজট তৈরি হচ্ছে এবং গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না সহজে। যার ফলে অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এই রাস্তা দিয়ে কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে মানুষকে। টালা ব্রিজ ভাঙার ফলে এই রাস্তা ব্যবহার করেন বেশির ভাগ মানুষ। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়ছেন। এছাড়া গাড়িতে এত ঝাঁকুনি হচ্ছে, যার ফলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, বৃষ্টি নামলেই রাস্তা আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ছে।