এ ছাড়া সন্ধ্যা নামলেই রাস্তার দু'ধারের দোকানের সামনে বাইক, গাড়ি, লরি যে ভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে তাতে আরও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে বিমানবন্দরের ৩ নম্বর গেটের কাছে যেখানে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে মিশেছে যশোর রোডে। সেখানকার অবস্থা অতীব খারাপ হয়ে আছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দরের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর যুক্ত হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর আসবে না শীত, এবার তবে কি...শুক্র থেকে বাংলার আবহাওয়া যেমন থাকবে...
আদতে এটি জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে রাজ্যের হাইওয়ে ডিভিশন। বাংলাদেশ হোক বা শিলিগুড়ি, অসমের গাড়ি যাতায়াত করে এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল বেহাল হওয়ায় চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাত্রী এবং গাড়ির চালকদের।
দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় বরানগর মেট্রো স্টেশনের সামনে রাস্তার উপরে প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ নানা জায়গায় খানা খন্দে ভরে আছে৷ অন্যদিকে মাঠকলের কাছ থেকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপরে থাকা বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার সেতুর আগে পর্যন্ত রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: হাওড়া-দিল্লি রুটেই প্রথম ব্যবহার হবে ‘কবচ’, কাজ শুরু কিছুদিনেই
ঠিক বিপরীত দিকের লেনে বরানগর স্টেশনের কাছে যে সাবওয়ে আছে সেখানেও তৈরি হয়ে আছে একাধিক খানা খন্দ। এই সাবওয়ের বিপরীতের রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে ৪০ সেকেন্ডের রাস্তা পেরোতে ১০ মিনিট লাগছে। সাবওয়ের ছাদ ফুটো হয়ে ক্রমাগত জল পড়ে যাচ্ছে।রাস্তায় একাধিক বড় বড় খন্দ তৈরি হয়ে গেছে। আর এখানেই প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। ফলে নিত্যদিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে।
যথাসময়ে ক্রেন না থাকার কারণে সেই গাড়ি সরাতেও যথেষ্ট সময় লাগে। ফলে নিত্যদিন যানজট তৈরি হচ্ছে ব্যস্ত এই রাস্তা। এই অবস্থার কবে বদল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীরা। এক্সপ্রেসওয়ে দেখভালের দায়িত্বে আছে আপাতত পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশন। তাদের বক্তব্য, রাস্তার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। প্যাচ ওয়ার্ক করা হবে।