ফের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে থাকা বাসিন্দারা। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের খলিসাকোটা থেকে যশোর রোড অবধি প্রতিদিন চলছে এই ধুলোর ঝড়। কিছুদিন আগেই বেহাল রাস্তা সারাতে নামে এনএইচএআই। তখনই রাস্তার ওপরে খানা খন্দে ফেলা হয় পাথর। সেই পাথর ভেঙে ধুলো হয়ে গিয়েছে। ফলে গাড়ি যাওয়ার সময়ে ধুলোর ঝড় উঠছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ২ কিমি অংশ জুড়ে।
advertisement
ধুলোর জেরে দূষিত হচ্ছে আশে পাশের এলাকা। খোলা যাচ্ছে না ঘরের দরজা জানলা। পাশেই রয়েছে দুটি আবাসন, হোটেল। ধুলোর ঝড়ে তিতিবিরক্ত প্রত্যেকেই। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গোটা রাস্তা জুড়ে যে ধরণের খানা খন্দ তৈরি হয়েছিল, তাতে নিত্যদিন বাড়ছিল দূর্ঘটনা। বিশেষ করে দুর্ঘটনায় পড়ছিল বাইক, স্কুটার। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পড়ে রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নেয় এনএইচএআই। যদিও প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে শুরু হয় রাস্তা মেরামতির কাজ।
কাজ বলতে অবশ্য রাস্তার বিভিন্ন গর্তে ফেলা হয় ছোট ছোট পাথর। যদিও দু'সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সেই পাথর ভেঙে গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে। আর তার জেরেই ধুলোর ঝড় উঠছে প্রতিদিন। এলাকার বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানিয়েছেন, "লাগাতার আমরা বলে চলেছি। যদিও কোনও হেলদোল নেই এন এইচ এ আই'য়ের। রাস্তার জন্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে আমাদের। এই ভাবে চললে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব। ধুলোর জেরে আমরা আমাদের জানলা অবধি খুলতে পারছি না। এই অবস্থা বন্ধ হোক।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় সহমত পোষণ করছেন এই রাস্তা যারা প্রতিদিন ব্যবহার করেন। তাদের একজন অয়ন চক্রবর্তী জানান, "বাইক নিয়ে অফিস যাই। এই ধুলোর জেরে রাস্তাই তো দেখতে পাইনা। ফলে দূর্ঘটনা ঘটার ভয় থাকে রোজ।" এনএইচএআই অবশ্য সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিচ্ছে। তাদের দাবি শীঘ্রই শুরু হবে রাস্তা মেরামতের কাজ।
আবীর ঘোষাল