রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই জ্বর আসে অনির্বাণ বাবুর৷ ডেঙ্গি পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পর গত ২ নভেম্বর তাঁকে আইডি হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়৷ গতকাল পর্যন্ত তাঁর রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার৷ কিন্তু রাতেই আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়৷ রাতেই তাঁর প্লেটলেটের সংখ্যা নেমে আসে ১৬ হাজারে৷
advertisement
রাতেই অনির্বাণ বাবুকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ এ দিন সকালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ ঘটনায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ গত বছর করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন অনির্বাণ বাবু৷ করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গির সংক্রমণই প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ালো৷
আরও পড়ুন: আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার, রাজ্যে রেকর্ড গড়ছে ডেঙ্গি! রক্তচক্ষু কলকাতাতেও
অনির্বাণ হাজরার বাবা হারান হাজরা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন৷ সাঁকরাইল কেন্দ্র থেকেই ১৯৬৯, ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি৷ এসএফআই-এর মুখপত্র ছাত্র সংগ্রামেরও প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন অনির্বাণ৷ মাত্র বছর দেড়েক আগেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি৷ ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাঁকরাইল কেন্দ্র থেকে মাত্র ১১৩ ভোটে পরাজিত হন তিনি৷