বেহালা চৌরাস্তা মোড় এলাকার ফুটপাথগুলি কার্যত হকারদের দখলে চলে গিয়েছে৷ ফলে একরকম বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করেন পথচারীরা৷ পথচারীদের হাঁটার জন্যও রাস্তার ধারে আড়াই মিটার মতো চওড়া জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে ফাইবার ডিভাইডার বসিয়ে তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে মোটা দড়ি দিয়ে।
advertisement
গোটা রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত গতিতে যান চলাচল যাতে না করে, সেই কারণে পর্যাপ্ত ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে রাস্তায়। ভোর থেকেই যানবাহন সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন দু’ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, ৩ জন ট্রাফিক পুলিশকর্মী এবং ৮ জন হোমগার্ড। মোট পাঁচটি ম্যানুয়াল ড্রপগেট আনা হয়েছে এলাকায়। বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় দু’টি, বেহালা ট্রাম ডিপোয় একটি, এবং রাস্তার ভিড় খতিয়ে দেখে আরও দু’টি ড্রপ গেট কোথায় বসবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
গতকালই বেহালা চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সাত বছরের সৌরনীল সরকারের৷ গুরুতর আহত হন সৌরনীলের বাবা সরোজ সরকার৷ এই দুর্ঘটনার পরই ব্যস্ত ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে৷ দুর্ঘটনা খবর শুনে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও৷ এর পরেই বেহালা চৌরাস্তা সহ ডায়মন্ড হারবার রোডের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আরও তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ৷ আক্ষেপ শুধু একটাই, এক বাবা-মায়ের কোল খালি হওয়ার পর হুঁশ ফিরল পুলিশের!