ব্যারাকপুরের সাংসদের রেলমন্ত্রীকে লেখা চিঠি ঘিরে ফের প্রকল্প নিয়ে চর্চা শুরু হয়।নির্মাণকারী বিভাগের অবশ্য বক্তব্য, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। ফলে জলের পাইপ লাইন সরিয়ে কাজ করে তা আবার পুনঃস্থাপন করতে সময় লাগবে না।কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে যদিও কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে কলকাতায় জল সরবরাহ। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ফের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে বরাহনগর-ব্যারাকপুর পিঙ্ক লাইনটি মোট সাড়ে বারো কিলোমিটারের। বরানগর থেকে শুরু হওয়ার পর, এই লাইনের প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি হল কৃষ্ণকলি (কামারহাটি), আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (আগরপাড়া). গান্ধী আশ্রম (সোদপুর), শরৎচন্দ্র (পানিহাটি), সুভাষ নগর, ঋষি বঙ্কিম (খড়দা), ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ (টাটা গেট), শাহ নওয়াজ খান (টিটাগড়), অনুকূল ঠাকুর (তালপুকুর) এবং মঙ্গল পান্ডে (ব্যারাকপুর)।
advertisement
আরও পড়ুন : যাত্রীদের জন্য সুখবর! সোমবার থেকে দিনরাতের ব্যস্ত সময়ে নোয়াপাড়া-কবি সুভাষ রুটে বাড়তি মেট্রো! জানুন সময়সূচি
আগের প্রকল্প অনুযায়ী, লাইনটি বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত চলবে, যার দৈর্ঘ্য ১২.৫০ কিমি (৭.৭৭ মাইল)।বি টি রোড ধরে বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১০ সালে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে ২০৬৯ কোটি টাকা।ওই রাস্তায় দু’টি পুরনো পাইপলাইন সরিয়ে ৬৪ ইঞ্চির দু’টি নতুন পাইপ বসানোর জন্য কলকাতা পুরসভা এবং রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়।বি টি রোডের নীচ দিয়ে টালা-পলতা জলপ্রকল্পের ছ’টি পাইপলাইন গিয়েছে।এই পাইপলাইন সরানোর কাজেই আটকে আছে এই মেট্রো প্রকল্প।