তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সঙ্গে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। ইতিমধ্যেই ভাবাদিঘির ৬০০ মিটার বাদ দিয়ে গোঘাট ও কামারপুকুর পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চলছে ও অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলের সিআরএস হয়ে গিয়েছে। কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে রেললাইনের কাজ জোরকদমে চলছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে কামারপুকুর রেল স্টেশনও। কাজ আটকে শুধু এই ভবাদিঘিরই।প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাবাদিঘিতে জমিজটের জেরে থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের কাজ। তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চললেও ভাবাদিঘি থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত অংশে রেলের কাজ আটকে রয়েছে। দিঘি বাঁচিয়ে রেললাইন করার আন্দোলন করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন : পুজোর আগেই শেষ করে দিতে হবে সব রাস্তা মেরামতির প্যাচ ওয়ার্ক, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যসচিবের
যদিও এই ব্যাপারে মাস কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই প্রশাসন ও রেলের তরফে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে আন্দোলনকারীদের। প্রশাসনের তরফে একাধিক প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।দীর্ঘ ৮ বছর ‘ভাবাদিঘি বাঁচাও’ জমি আন্দোলনে থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প। বিভিন্ন স্তরে শাসক এবং বিরোধী দলের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। এখনও সেই তরজা থেমে নেই। আন্দোলনকারীরাও অনড়। তাঁরাও জানিয়েছেন, আগে যা বলেছে কমিটি, এখনও তা–ই বলা হচ্ছে। রেল হোক, কিন্তু দিঘি বাঁচিয়ে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের গোঘাট ও কামারপুকুরের মধ্যবর্তী ভাবাদিঘি জটে থমকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার রেলের কাজ।