কয়েকদিন আগে, কয়েকটি নয়, সবকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব টি ভি সোমনাথন। এর প্রতিবাদে এ রাজ্যের অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার কনফেডারেশন, অল ইন্ডিয়া নেশনালাইজড ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ইউনিয়নগুলি তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থায় কেন্দ্র সরকারের এই ধরণের জনবিরোধী মনোভাব দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং চরম ক্ষতিকর।
advertisement
একের পর এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক প্রতিনিয়ত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষকে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য ১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ বা রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। এই বিশেষ দিনকে স্মরণে রেখে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯ জুলাই রাজ্য জুড়ে তথা দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হল। গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় নেমে প্রচার পুস্তিকা বিলি করা, ট্যাবলো বের করা,দৈনিক খবরের কাগজের মধ্যে লিফলেট বিলি করে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে জনমত সংগ্রহ করছে।
প্রতিবাদী ইউনিয়নগুলোর বক্তব্য, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ হলে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির গ্রামীণ শাখা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ, প্রবীণ নাগরিক এবং পেনশন ভোগীরা কম সুদ পাবে,ব্যাঙ্কের সমস্ত পরিষেবায় সার্ভিস চার্জ বাড়বে।কৃষিতে সুদের ছাড় পাওয়া যাবে না। পড়ুয়াদের শিক্ষা লোন পেতে অসুবিধা হবে। আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদে থাকবে না,কোনো সরকারি গ্যারান্টি থাকবে না।
শনিবার কলকাতায় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এআইবিওসি ( অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসারস কনফেডারেশন)র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত, রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস একযোগে জানান, ‘‘কেন্দ্র সরকার যে জনবিরোধী নীতি নিয়ে আসতে চলেছে তার তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানাব। আগামী দিনে বড়োসড়ো আন্দোলনে নামতে চলেছি। আমাদের একটাই স্লোগান- সরকারি ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। আগামী সংসদ এর বাদল অধিবেশনে সাংসদদের কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠার আহ্বান জানাই।’’
ABHIJIT CHANDA