মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১-২২ আর্থিক বছরে পরিবারগুলিতে কলের জলের সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য এই অর্থবছরে ২৩.৩৭ লক্ষেরও বেশি সংযোগ প্রদান করেছে। ওড়িশা এবং বিহার যথাক্রমে ১৭.৪৭ এবং ১৭.৩৯ লক্ষ সংযোগ প্রদান করে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যগুলি তালিকায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে, যথাক্রমে প্রায় ৯.৫১ এবং ৬.৫৭ লক্ষ সংযোগ প্রদান করেছে (Latest Bengali News)।
advertisement
আরও পড়ুন-রাজ্যের এই জেলায় আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ! জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
শুধুমাত্র মার্চ মাসেই, পশ্চিমবঙ্গ ২.৬৩ লক্ষেরও বেশি কলের জলের সংযোগ প্রদান করেছে। পূর্ববর্তী অর্থবছরে যথাক্রমে ৪৬,৩৮৭ সংযোগ প্রদান করে নদিয়া জেলাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে মুর্শিদাবাদ (৩৯,২৩৭) এবং উত্তর ২৪-পরগনা (২৭,৫২৭) সংযোগ প্রদান করেছে। মার্চ মাসে কলের জলের সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে, অন্ধ্রপ্রদেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বাংলা সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন-ছেলের সঙ্গে ঝামেলার পর ট্রেন লাইনে শুয়ে পড়লেন মহিলা ! দেখুন তারপর কী ঘটল
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, কলের জলের সংযোগ প্রদানের প্রকল্পের নোডাল সংস্থা, আগের অর্থবছরে ৮,৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২,৯৪১টি নতুন এবং বর্ধিত পাইপযুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলায় প্রায় ৫৬,০০০টি স্কুল এবং ৩৮,০০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও প্রবাহিত জলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।জলস্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ১.৭৭ কোটি পরিবারে কলের জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার আশা করছে ৷ ২০২০ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, প্রায় ৩৮ লক্ষ পরিবারকে ইতিমধ্যেই কলের জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে ৷
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসরণ করছি এবং লোকেরা যাতে দ্রুত প্রকল্পের সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করার জন্য কাজটি সম্পাদন করছি।’’ যদিও জলস্বপ্ন নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য এটা আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প।