শুধু ওখানে না। শহর কিংবা অন্যত্র ফলের দোকানে এই খেজুর (Dates) খুব অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রেখে বিক্রি হয়। তার উপর দেখা যায়, এই খেজুরে মাছি অনবরত আসছে, বসছে উড়ে যাচ্ছে। মাছি ফলের যেখানে বসে ,সেখানে ডিম পাড়ে। আর সেই ডিম থেকে লার্ভা বেরও হয়। ওই লার্ভা পচনের ফলে ওখানে যে টক্সিনের সৃষ্টি হয় সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে খুব বিপজ্জনক। কিছুদিন আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কলকাতার বায়ুতে যে প্রচুর পরিমাণে সীসা, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক, কার্বন মনোক্সাইডের মত জিনিস ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটার উল্লেখ গবেষণা করে রিপোর্ট বের করে।
advertisement
সেখানে দেখা গিয়েছে বাতাসে ৩০% শতাংশের বেশি ভারী পদার্থ রয়েছে যা প্রতিদিন আমাদের খাবারে মিশছে। এছাড়াও বাসের ধোঁয়াতে রয়েছে ভয়ানক বিষাক্ত রাসায়নিক। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, 'যে ভাবে এই খেজুর (Dates) ব্যবহার হচ্ছে, তাতে মানব শরীরে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। খেজুর সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ খায় এবং সেটা কেক থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ভাবে খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় ।এক্ষেত্রে যে ভাবে নোংরা জায়গায় অবহেলার সঙ্গে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আদতে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের স্বাস্থ্যের বড় পরিমাণে ক্ষতির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন- ভোটের আগেই তৃণমূলের দখলে দুই পুরসভা! পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি, সরব বিরোধীরা
তবে খেজুর যেহেতু ভেজা জিনিস,তাতে এই ধরনের বিষাক্ত পদার্থ অনায়াসে মিশে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্য নিয়ে আমাদের সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরের আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিত। সজাগ না হলে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে। সঙ্গে এই শহরের মানুষেরা ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হবে।
শঙ্কু সাঁতরা