আরও পড়ুন- রাশিফল ২ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
২০১৯ সালের ৩১ অগাস্ট মধ্য রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বউবাজারের একাধিক বাড়ি। সব হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে আজও বসে আছেন শীল-বড়াল'রা। এই কাজের দায়িত্বে আছেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিকরা ৷ সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার (প্রজেক্ট) এন সি কারমালি জানিয়েছেন, "বউবাজারে কাজ করতে গেলে অনেক সাবধানী হয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কারণ এখনও মাটির নীচে অনেক জলস্তর আছে। যেখান থেকে ক্রমাগত জল বেরোচ্ছে। আমরা গ্রাউটিং করে অত্যন্ত সাবধানতার সাথে কাজ করছি। আমরা চাই না দ্রুত বা হুড়োহুড়ি করে কাজ করতে গিয়ে কোনও বিপদ আবার নতুন করে তৈরি হোক।"
advertisement
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গে বৈঠক, অন্ধকারে খোদ শুভেন্দু-দিলীপ? মহানাটক এবার দলের অন্দরেই...
ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি'কে তুলে আনার কাজ চলছে। তবে এখানে চান্ডিকে তুলে আনার পাশাপাশি, অপর টানেল বোরিং মেশিন 'উর্বি'র কিছু অংশও তুলে আনা হবে। ফলে এই দুটি কাজ করতে গিয়ে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে এগোচ্ছে নির্মীয়মাণ সংস্থা ও কে এম আর সি এল। আপাতত স্থির হয়েছে মোট ৪৬টি বাড়ি তাদের নজরে ৷ এর মধ্যে ২৩টি বাড়ি পুরো নতুন করে তৈরি করতে হবে। বাকি ২৩ বাড়ি সংষ্কার করা হবে। আর এই কাজ শুরু হবে আগামী ডিসেম্বর মাস বা জানুয়ারি মাস থেকে। ফলে আগামী ১ থেকে ২ বছর সময় লাগবে বউবাজারের ছাদ হারানো বাসিন্দাদের ঘরে ফিরতে। কেএমআরসিএলে'র জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এ কে নন্দী জানিয়েছেন, "আমরা ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছি সব পরিবারগুলোর সঙ্গে। তাদের আমরা নকশা দেখিয়েছি ৷ সকলের সাথে কথা বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সবার পাশেই আমরা আছি।"
