জেলাগুলিকেও আবহাওয়ার গতিবিধি সম্পর্কে আপডেটেড থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এমনিতে ভরা বর্ষায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই দিক মাথায় রেখে ভোট গ্রহণের দিন পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ জেলাগুলিকে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিরাট সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, দুই প্রধান মুখ মাঠের বাইরে! ‘অন্য’ পরিকল্পনা
advertisement
ভরা বর্ষায় এবারে হবে পঞ্চায়েত ভোট। প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটের ডিউটিতে কোথাও আতঙ্ক মশার কামড় আবার কোথাও সাপের উপদ্রব। আবার রয়েছে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। এই সবকে মাথায় রেখেই ভোট কর্মীরা যাবেন বিভিন্ন বুথে বুথে ভোট পরিচালনা করতে। আর এইসব সমস্যা যাতে নির্বিঘ্নে সামলানো যায় সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন আধিকারিকদেরও দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: অভিষেককে পাল্টা চিঠি ইডির! ‘সার্বিকভাবে…’ যা জানানো হল, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
কমিশন সূত্রে খবর, স্পষ্ট জানানো হয়েছে ভোটকর্মীদের প্রয়োজনের কথা ভাবতে গিয়ে এইসব বিষয়ে লাগাম ছাড়া খরচ করা যাবে না। জেলার জন্য কমিশনের নির্ধারিত বাজেটের মধ্যেই খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভরা বর্ষায় পঞ্চায়েত ভোট হবে বলে ছাতা বা রেনকোট দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছেড়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে আলিপুরদুয়ারে ম্যালেরিয়ার উপদ্রবের মোকাবিলায় ভোটকর্মীদের একবার মশারিও দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের ডিউটিতে যে ব্যাগ দেওয়া হয় তাতে ৭৬ ধরনের জিনিস থাকে। এর মধ্যে ব্যালট বাক্স,ব্যালট পেপার, ভোটের কালি, রাবার স্ট্যাম্প, ভোটার তালিকা, ভোটার স্লিপ-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরঞ্জাম কেন্দ্রীয় ভাবে কমিশনই পাঠায়।
এছাড়া জেলাভিত্তিক কিছু জিনিস প্রশাসন যুক্ত করে। মূলত সাগর থেকে পাহাড় একই রকম জিনিসের প্রয়োজন হয় না। এলাকাভিত্তিক বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটকর্মীদের জন্য বাড়তি কিছু ব্যবস্থা করতে হয়। যা জেলা প্রশাসনই স্থির করে। তাই এবার ভরা বর্ষায় ভোট হওয়ায় অনেক কিছু ভোট কর্মীরা কি ছাতা বা রেনকোট পাবেন?