সময় নষ্ট না করে ছিনতাইকারীর পিছু নেন ট্রাফিক সার্জেন্ট অমল। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গতি বাড়িয়ে ছিনতাইকারী লর্ড সিনহা রোডের দিকে দৌড়তে শুরু করে। আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ও লর্ড সিনহা রোড ক্রসিংয়ে ডিউটিতে ছিলেন সাউথ ট্রাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার মৃণাল হরিজন। অমল ওয়াকিটকিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার মৃণালকে জানান, মোবাইল ছিনতাই করে লর্ড সিনহা রোডের দিকে পালাচ্ছে এক ব্যক্তি, এবং তাকে দ্রুত ধরার নির্দেশ দেন। কয়েক মুহূর্ত পরেই মৃণাল দৌড়ে ধরে ফেলেন ছিনতাইকারীকে। তাকে তুলে দেওয়া হয় শেক্সপিয়ার সরণি থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর বাহার আলি খানের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অত্যাচারী পুলিশ অফিসারের পদত্যাগ চাই', ফের মারধরে অভিযুক্ত খোদ পুলিশ!
আরও পড়ুন: লজ্জার কলকাতা, চোর সন্দেহে যুবকের বুকে পা সিভিক ভলান্টিয়ারের! গোটা দেশে ঘুরছে এই দৃশ্য
মোবাইল উদ্ধার করে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মালিকের কাছে। যিনি অভিভূত হয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে। সাম্প্রতিককালে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সাউথ ট্রাফিক গার্ডের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের কর্মকাণ্ডে কার্ডত মুখ পুড়েছিল পুলিশের। সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে হয়েছিল সয়ং পুলিশ কমিশনারকে। ওই ঘটনার পরে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কাজ থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি লালবাজারে ডাক পড়ে ট্রাফিক পুলিশের সাউথ গার্ডের ওসির। পুলিশ কমিশনার পুরো বিষয়টির তদন্তেরও নির্দেশ দেন। সিভিক ভলেন্টিয়ারের সেই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে হাজার সমালোচনার সম্মুখীন হয় কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতেও বলা হয়। এবার ফের আরও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজে অনেকটাই আশ্বস্ত হচ্ছেন শহরবাসী।
সুশোভন ভট্টাচার্য