জানা গিয়েছে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে। দলের সিদ্ধান্ত সব কাউন্সিলরকে মেনে নিতে হবে বলে সব কাউন্সিলরের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করে নেওয়া হতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্ব আনন্দ দত্তকে চেয়ারম্যান ও তপন পোড়েলকে ভাইস চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নিয়ে তৈরি করা ও ফিরহাদ হাকিমের সই করা সেই চিঠি ১৫ মার্চ সাংবাদিক বৈঠকে পড়ে শুনিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই সিদ্ধান্ত যে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের মন:পুত হয়নি তা বর্ধমানের সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তপন পোড়েলের অনুগামী কাউন্সিলররা। সেই বৈঠকে আনন্দ তথ্য সহ ৫ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও বাকি ১২ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : পান থেকে চুন খসলেই চলছে গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে? উত্তর খুঁজছে কল্লোলিনী
পরের দিন কালনার পুরশ্রী মঞ্চে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পুর প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে দলের নির্দেশ অমান্য করে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা তপন পোড়েলকে পৌর প্রধান হিসেবে নির্বাচন করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুর প্রধানকে শপথ গ্রহণ না করিয়ে সভাকক্ষ ছাড়েন মহকুমা শাসক। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় পুর প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেন জেলাশাসক।
বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তপন পোড়েলকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। দলের নির্দেশ না মেনে পুরপ্রধান নির্বাচনে সক্রিয় থাকার অভিযোগে আরও তিন কাউন্সিলর কে সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শাস্তি নেমে আসায় তৎপরতা কমান কাউন্সিলররা। এরপরই তাদের কলকাতায় ডেকে পাঠায় নেতৃত্ব।