আরও পড়ুন : বলছেন তো হাজার বার! আপনি OK-র Full Form জানেন? জেনে নিন অবাক করা ইতিহাস!
আগের তুলনায়,বাগদা চিংড়ির উৎপাদন আমাদের রাজ্যে কমেছে। আমেরিকান বংশোদ্ভূত ভেনামি চিংড়ি চাষ বেড়েছে এ রাজ্যে। ১০০% চিংড়ির মধ্যে মাত্র কুড়ি শতাংশ বাগদা চিংড়ি বর্তমানে উৎপাদন হয়। বাগদা চিংড়ি বরাবরই অর্থকরী। বিদেশের বাজারে বাগদা চিংড়ির কদর অনেক বেশি। উত্তর ২৪ পরগনার মালঞ্চ, তেতুলিয়া, বসিরহাটের মাছের বাজার গুলোতে চলছে বাগদা চিংড়িতে জল ভরে ওজন বাড়ানোর কাজ।
advertisement
জলের সঙ্গে এরারুট কিংবা ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে,জলকে একটু মোটা করে তারপর সেই জল ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে বাগদা চিংড়িতে ভরে দেওয়া চলছে রমরমিয়ে। মালঞ্চ মাছের কাঁটা থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশে, লম্বা সার দেওয়া যে মাছের আড়ৎগুলি রয়েছে, সেই প্রতিটি আড়তের পেছনের ঘরে চলে এই বাগদা চিংড়ি ভেজালের কাজ। অন্যদিকে তেঁতুলিয়া বাজারে সন্ধ্যার পরেই শুরু হয়ে যায় এই করবার। তবে এর পেছনে খুব শক্তিশালী চক্র কাজ করে।
এই বিষয়ে মৎস্য বিজ্ঞানী বিজয় কালি মহাপাত্র বলেন, 'প্রথমত,এই চিংড়ি কিনে ক্রেতারা ঠকছেন। বিদেশের বাজারে কোনও সময় বিষয়টি সামনে এলে দেশের বদনাম হবে। বাগদা চিংড়ি সেই ক্রেতাদেশ আর ইমপোর্ট করবে না। এছাড়া যে জল ভরছে সেই জলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যার ফলে মাছের সংক্রমণ হতে পারে। সেই সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন খাদক।'
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাগদা চিংড়ির ভেজালের চক্র আজও চালছে। বিশেষ করে চাষীদের কাছ থেকে মাছ কিনে যারা এক্সপোর্ট এর জন্য প্রস্তুত করছে, তারাই এ কাজটি করছে। বাগদা কিনে বিদেশের মানুষ শুধু নয়, দেশের মানুষও ঠকছেন। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারণা এবং জনস্বাস্থ্য নিয়ে যে অপরাধ চক্র চলছে তার বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সরকারের।