মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এদেরকে দিয়ে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করাতে। যেমন, সিভিক ভলেন্টিয়াররা এখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। কিন্তু এরই সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে রয়েছে হেনস্থা করার অভিযোগও। রাজ্যে এরকম প্রচুর সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছেন যাঁরা পুলিশ সেজে মানুষকে প্রতারিত করছেন। এদিকে রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, ওদের পুলিশের মতো কোনও প্রশিক্ষণ হয় না। তাই সমস্যা দেখা দেয় কাজ করার সময়। এমনকী কোনও অপরাধ করলে কোনও শাস্তির ব্যবস্থাও করা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুন: লড়ছেন বিনয় তামাং, পাহাড়ে ১০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
ওই দুই মহিলা সিভিককে কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনে নার্সদের আন্দোলনের সময়। সেই সময় তাঁরা এক মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে ডিউটি করছিলেন। এতেই প্রশ্ন উঠছে, একজন পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে কীভাবে 'WBCP' ব্যাজ পরে ডিউটি করতে পারেন কেউ? পুলিশ কর্তারা বলছেন, 'এদেরকে পুলিশের সহকারী হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। এরা চুক্তিভিত্তিক। তাই এরা কোনও দিন পুলিশ লিখতে পারেন না। এরা পুলিশ সেজে সুযোগ নিচ্ছেন।'
আরও পড়ুন: সিকিমে পাহাড়ি বাঁকে খাদে গাড়ি! মর্মান্তিক মৃত্যু ৫ পর্যটক ও চালকের
সাধারণ মানুষ তো এত কিছু জানেন না। ফলে পুলিশ লেখা দেখলেই অনেকটা ঘাবড়ে যাচ্ছেন অনেকে। আর এক শ্রেণির পুলিশ কর্মী এদের ব্যবহার করছে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে। কয়েক দিন আগেই রাজ্যে ভুয়ো পুলিশ, আইএএস, আইপিএস নিয়ে মাথা ব্যথা হয়েছিল সরকারের। সেখানে পুলিশ আধিকারিকের সামনে 'WBCP' লেখা ব্যাজ পরে ডিউটি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে।