আমন্ত্রিতদের তালিকাও তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে ডাক পাচ্ছেন না দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। ডাক পাচ্ছেন বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে আসা বিধায়করাও। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য নাম মুকুল রায় (Mukul Roy)। এর পাশাপাশি রয়েছে, বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও ওই নির্বাচনে ডাকা হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন-বাজেট অধিবেশনের আগে রণকৌশল আজ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লক্ষ্য ২০২৪। মোদি বিরোধীতায় জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান মুখ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় সংগঠন ঢেলে সাজাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী মাসের ২ তারিখ তৃণমূলের সাংগঠনিক ভোট হতে চলেছে। যা ধাপে ধাপে ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করা হবে। ইতিমধ্যেই তা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনে জাতীয় প্রেক্ষাপটে নজর দিতে চায় তৃণমূল। সূত্রের খবর, বাড়তে পারে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা। ২০২১ এর ভোটের পরে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে তৃণমূলের।
ত্রিপুরা পুর নির্বাচনে লড়াই করেছে তৃণমূল। সেখানে তারা ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গোয়া বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে। এছাড়া মেঘালয়, হরিয়ানার মতো রাজ্যেও সংগঠন বিস্তার করছে বাংলার শাসক দল। তাই সংগঠন ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে আগামী দিনে থাকতে চলেছে একাধিক জাতীয় স্তরের মুখ। তৃণমূলে এই মুহূর্তে রয়েছে ২০ জনের ওয়ার্কিং কমিটি। দল পরিচালনা করতে তাদের সিদ্ধান্ত সবচেয়ে বেশি মান্যতা পায়। সূত্রের খবর, এই ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান পেতে পারেন হরিয়াণার অশোক তানওয়ার, প্রাক্তন জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা পবন বর্মা, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, কীর্তি আজাদ। আসতে পারেন সাংসদ সুস্মিতা দেব ও টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। গত নভেম্বরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয় তৃণমূলে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে কমিটির সদস্যদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল গঠনের সময় দলীয় সংবিধান তৈরি হয়েছিল। সেই সংবিধানের উপর ভর করেই গত ২৩ বছর রাজনীতির পথ চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার ১০ বছরের মধ্যে বহরে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলার শাসকদল। এখন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। অন্য রাজ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক বিকাশের কারণেই ঢেলে সাজানো হবে। দেশের সর্বস্তরে দলকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। দলীয় সূত্রের খবর, ২৪ বছর আগে দল যেখানে ছিল, তার থেকে এখন অনেক বড় জায়গায় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে দলের পরিকাঠামো এবং কাজ করার ধরনেও বদল এসেছে। তাই শীঘ্রই দলের ওয়ার্কিং কমিটির সম্প্রসারণ হবে।
আবীর ঘোষাল