দিলীপ ঘোষ নিজেই ফেসবুকে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ছোটবেলার কথা মনে করে লিখেছেন, 'কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। ছোটবেলায় প্রবল উৎসাহে গ্রামের বাড়িতে ছিপে মাছের চারা দিয়ে মাছ ধরতাম। আজ আবার ইচ্ছে হল। নিউটাউনের আশেপাশেই একটি পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরলাম।' ভিডিওতে ধরা পড়েছে নেতার খোলস ছাড়া এক গ্রামের বালকের সরলতা। বরশিতে মাছ উঠতেই তা দেখিয়ে সেই আনন্দ উপভোগ করছেন দিলীপ ঘোষ। একেবারে অন্য মেজাজে, হারিয়ে যাওয়া দিনে ফিরে গিয়েছিলেন যেন।
advertisement
কয়েকদিন আগেই নিজের ছোটবেলার দিন কাটানো গোপীবল্লভপুরে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেদিনও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন শৈশবের টুকরো চিত্র। লিখেছিলেন, 'আজ আমার আজন্মলালিত বাল্যভূমি গোপীবল্লভপুরে গিয়েছিলাম। গ্রামের বাড়িতে সেই ছোটবেলার দিনগুলো ফিরে পেলাম। মায়ের লাগানো গাছ থেকে বাতাবিলেবু, কমলালেবু পাড়তে পাড়তে বারবার স্মৃতির সারণী বেয়ে ফিরে পাচ্ছিলাম নিজের শৈশব।' মায়ের স্মৃতি আঁকড়ে গাছের ফল পাড়তে থাকা দিলীপ ঘোষ ভিডিওতে ধরা দিয়েছিলেন পাশের বাড়ির ছেলের মতোই।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ! সব নজর ঘুরে গেল ফিরহাদ-মলয়ের ঘরের দিকে
আরও পড়ুন: নরকগুলজার, BJP-তে শুধুই ঝগড়া আর টাকা চাওয়া! তৃণমূলে মুখপত্রে বিস্ফোরক গেরুয়া প্রার্থী
এমনিতে ফিটনেস নিয়ে খুবই সচেতন বাংলা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। করোনাভাইরাসের লকডাউন চলাকালীন দীর্ঘদিন ব্রেক নিলেও, লকডাউন খুলতেই ফের নিউটাউনের ইকো-পার্কে শরীরচর্চা, খেলাধুলোয় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নিয়মিতই দিলীপ ঘোষ প্রাতর্ভ্রমণে যান। সেখানে গিয়ে যোগাসনও করেন তিনি। সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মীরাও এই প্রবীণ রাজনীতিকের কাছ থেকে শিখে নেন ফিট থাকার মন্ত্র। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মিডিয়াকেও কোনওদিন নিরাশ করেন না তিনি। রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আবদার মেটাতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে।