চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অনামিকা বিশ্বাসের নামে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এসেছিল চার কোটির বেশি টাকা।
এই টাকা কি ধান বিক্রি করে এসেছিল? ১১ অক্টোবর ২০২৩ সালে অনামিকার বয়ান রেকর্ডের সময় তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। সবটাই বাকিবুর জানতেন বলে ইডিকে বয়ান অনামিকার।
আরও পড়ুন-ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্যই ! জেলায় জেলায় চলছে শীতের স্পেল, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
advertisement
শুধু অনামিকা নন, তাই ভাই অভিষেক বিশ্বাস অর্থাৎ বাকিবুরের শ্যালকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ধান বিক্রি বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে চার কোটি টাকার বেশি এসেছিল, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির।
১২ অক্টোবর ২০২৩ ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও চাষের জমি নেই। তিনি কোনও দিন ধান বিক্রি করেননি। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর বয়ান ,সরকারি সংস্থা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছিল, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বাকিবুরের হাতে।
আরও পড়ুন– পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস রয়েছে, যার গন্ধে ভয় পায় সাপ! জেনে রাখা প্রয়োজন
এখানেই শেষ নয়। ইডির চার্জশিটে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে চলা অভিযানের কথাও উল্লেখ করে বাকিবুরের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগ ওঠে।
আয়কর দফতর বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিলে হানা দিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টস ও ডিজিটাল এভিডেন্স বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার মধ্যে একটি সরকারি সংস্থা থেকে ধান বিক্রি বাবদ একটি হিসেবের মেমো পাওয়া যায়। তাতে দশজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার প্রমাণ রয়েছে। এই দশজনের মধ্যেই রয়েছে হালিমা বেগম ও সোহেল রহমানের নাম। যারা বাকিবুরের স্ত্রী ও পুত্র।
২৩ অক্টোবর ২০২৩ ইডির জেরায় বাকিবুর নিজে এদের পরিচয় স্পষ্ট করেছেন। এই ভাবেই সরকারি টাকা নিজের পরিজন, সংস্থার কর্মীদের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিলেন বাকিবুর রহমান। এছাড়াও কালো টাকা সাদা করতে পরিবারের এই সদস্যদেরও ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন