গেরুয়া শিবির থেকে বার বার অভিযোগ করা হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় দেশদ্রোহীদের আখড়া। এবার একই সুরে যাদবপুরকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, ‘যাদবপুরের পড়ুয়ারা কোনও সভ্যতা ভদ্রতা জানে না ৷ এরা এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করছে ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। গেটের বাইরে যেভাবে রাজনীতির মঞ্চ বানানো হয়েছে তাকে নক্কারজনক ছাড়া কিছুই বলা যায় না ৷’ যাদবপুরের বিক্ষোভে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছে স্বয়ং মমতা। না হলে প্রশাসনের তরফে একটা ন্যূনতম ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল ৷ তার বদলে তিনি নিজেই এই সব কাজে উৎসাহ যোগাচ্ছেন ৷ নাহলে আমাকে যেদিন আটকে দেওয়া হল তখন রাজ্যপাল এলেন ৷ অন্যদিকে, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে না পেরে যখন ফিরে এলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর কী বূমিকা ছিল?’ তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র।
advertisement
যাদবপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাল্টা সমালোচনায় আসরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অভিনয়ের ডায়লগ না কি গানের। যাদবপুরের ছেলেরা খারাপ না ভাল তা মেধা দিয়ে বিচার হবে। উনি তো ইউনিয়ন রুমে ঢুকে তছনছ করেছেন। পুলিশ ঢুকিয়েছেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে ৷ তাই পড়ুয়াদের নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভাল ৷’ অন্যদিকে, এনআরসি-সিএএরর বিরোধিতায় বারবার পথে নামছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব বলেই কি এ ভাবে নিশানা করলেন বাবুল সুপ্রিয়? প্রশ্ন যাদবপুরের পড়ুয়াদের।
সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে রাজ্যের নানা প্রান্তেই চলছে আন্দোলন। যাদবপুরের পড়ুয়ারা সেই আন্দোলনে যেমন আছেন, তেমনই তাঁরা দাঁড়িয়েছেন জেএনইউয়ে আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশেও। তাই কি যাদবপুরের পড়ুয়াদের এ ভাবে আক্রমণ? বিরুদ্ধ সুর বলেই রোষে? প্রশ্ন নানা মহলে। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও।