এরপর আরও একধাপ এগিয়ে বাবুল সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন (Dilip Ghosh on Babul Supriyo), "উনি স্টার। দলের হননি কখনও। বন্ধু মানুষ। আগেও বলতাম উনি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তিনি আবেগে করতেন। যা করতেন আবেগে করতেন । যেখানে গিয়েছেন ভাল ভাবে রাজনীতি করুক। শিল্পী মানুষ।"
আরও পড়ুন-'বিরোধ' এখন অতীত! তিক্ততা ভুলে 'সৌজন্য' বিনিময় মহুয়া মৈত্র - বাবুল সুপ্রিয়র...
advertisement
বাবুলের যাওয়াকে খুব বড় করে দেখতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু উপসর্গ থেকে রোগ চিনতে বা চেনাতে চাইছেন তিনি। শমীক ভট্টাচার্য যখন বলছেন, বাংলার মানুষ আয়ারাম গয়ারাম রাজনীতি পছন্দ করে না, দিলীপ সরাসরি প্রশ্ন শীর্ষনেতৃত্বকেই। শনিবার সন্ধ্যাতেই বাবুল সুপ্রিয়র নাম না নিয়ে বলেন (Dilip Ghosh on Babul Supriyo), যারা মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী হতে হতে এসেছিলেন তাঁরা কোথায় গেলেন এই প্রশ্ন শীর্ষ নেতাদের করে এসেছি।
আজ রবিবাসরীয় সকালে অবশ্য দিলীপ ঘোষকে অনেক হালকা মেজাজে দেখা গেল। এই প্রথমবার ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারেও এলেন। দুজনেই একসাথে ঘুরে ঘুরে প্রচার করলেন। দিলীপ ঘোষ বোঝাতে চাইলেন বাবুল সুপ্রিয়র যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
কিন্তু বাবুলকে তো তারকা প্রচারক করেছিল দল! গোটা বিজেপি দলটাই আপাতত ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে বাবুল সুপ্রিয় সংক্রান্ত এই অপ্রিয় সত্যকে কার্যত এড়িয়ে যেতে চাইছেন। কেউ একটু চড়া সুরে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, কেউ অনেকটাই নরম। যেমন স্বপন দাশগুপ্ত বাবুলের চলে যাওয়াটা বড় ক্ষতি বলেই মনে করছেন। দিলীপ ঘোষ চাইছেন, নিচুতলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। তাঁর কথায়, "বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ মন্ত্রী হয়েছিলেন। মাথায় করে নাচা হয়েছে, দল ছেড়ে যাচ্ছেন তাই খবর হচ্ছে। মার খেয়েছে তাদের নিয়ে কোনও খবরই নেই।"
-রিপোর্টার- সুশোভন ভট্টাচার্য