বাবুল আজ ট্যুইটারে লেখেন, "স্পিকার ওম বিড়লাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাকে আগামী কাল সকাল ১১টার সময় তিনি সময় দিয়েছেন তাই। আমি তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র জমা দেবো। আমি এর পর থেকে বিজেপি সাংসদ হিসেবে কোনও অর্থ বা অন্য কোনও সুযোগ সুবিধে নেবো না। আমি আর বিজেপির অংশ নই, যে বিজেপির জন্য আমি একটি আসনে জয়লাভ করেছিলাম। আমার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে তবে আমি আবার জয়লাভ করব।"
advertisement
২০১৪ সালে লোকসভায় জায়গা হয় বাবুলের। এর পর ২০১৯, বাবুল এরপর জেতেন ব্যবধান আরও বাড়িয়ে। বাবুলের যুক্তি ছিল, মানুষ প্রথমবার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছিল। পরের বার ভোট এসেছিল কাজ দেখে। আর এই কারণেই বাবুলের নতুন এই টিপ্পনি ইঙ্গিতবাহী। বাবুল পদ ছাড়লে আসানসোলের এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে কিছুদিনের মধ্যেই। সেক্ষেত্রে কি বাবুলই জোড়াফুলের পতাকায় প্রার্থী হবেন? সেই সম্ভাবনাই কি তিনি উস্কে দিলেন, 'আমি আবার জয়লাভ করব' বলে?
আরও পড়ুন-লক্ষ্য ৪-০, যে কৌশলে ৩০-এর লড়াইয়ে নামছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস...
প্রসঙ্গত বাবুলকে দলে টেনে অভিষেক নিজেই বলেছিলেন, বিধায়ক-সাংসদরা দলে আসতে চাইলে পদত্যাগ করিয়ে নিয়ে আসবেন। এবং নতুন করে তাঁরা জিতবেন। বাবুল সে পথেই হেঁটেছেন, প্রথম থেকেই ইস্তফার জন্য স্পিকারের সময় প্রার্থনা করে এসেছেন।
ইতিমধ্যে তৃণমূলে অনেকটাই স্বচ্ছন্দ্যবোধ করতে শুরু করেছেন বাবুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নচিকেতা ইন্দ্রনীল সেনদের সঙ্গে একমঞ্চে ডেকে নিয়েছেন। তবে বাবুল কেন তারকা প্রচারকের তালিকায় বাবুল ডাক পেলেন না তা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। বাবুলের ঘনিষ্ঠমহলের মত, বাবুলের সাংসদ পদ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বাবুল এবং তৃণমূল উভয়েই অপেক্ষা করতে চাইছিল। আপাতত সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। এখন দেখার বাবুলকে কতটা জায়গা দেয় তৃণমূল।