সোমবারই বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo) ট্যুইট করে জানান, মঙ্গলবার স্পিকার তাঁকে সময় দিয়েছেন। তাঁর কাছেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
ট্যুইটে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo) লেখেন, ‘স্পিকার ওম বিড়লাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমাকে সকাল ১১টার সময়ে সময় দিয়েছেন। আমি তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র জমা দেব। অর্থ বা অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা নেব না। আমি আর বিজেপির অংশ নই, যে বিজেপির জন্য আমি একটি আসনে জয়লাভ করেছিলাম। আমার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে আমি আবার জয়লাভ করব।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাবুলের ট্যুইটের শেষ লাইনটি খুবই ইঙ্গিতবাহী।
advertisement
আরও পড়ুন : টার্গেট গোয়া, শীঘ্রই সে রাজ্যে যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) আসানসোলে উপনির্বাচনে লড়বেন নাকি তাঁকে এই রাজ্যে কোনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে? এই দুই প্রশ্নই এখন বাবুলকে ঘিরে মূল আলোচ্য বিষয়। কিছুদিন আগে জাগো বাংলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। শেষ পর্যন্ত তাকে নতুন কোন ভূমিকায় দেখা যায়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, গত অগস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এর পরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু নানা কারণে সেই সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি। যা নিয়ে জল্পনাও ছড়ায়।
বাবুল সুপ্রিয় আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি যাদের টিকিটে নির্বাচিত, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে পুরনো দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখা ‘অনৈতিক’ কাজ হবে। এমনকি সংসদ পদে থাকার দরুন উপনির্বাচনের তৃণমূলের তারকা প্রচারক তালিকাতেও থাকেননি বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর ট্যুইটে এমনি দাবি করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৪-তে লোকসভা ভোটে বিজেপি-র টিকিটে আসানসোল থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখান থেকে জিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন। এর পর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জেতেন তিনি। এ বারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন এই গায়ক রাজনীতিবিদ। কিন্তু সম্প্রতি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বাদ পড়েন বাবুল সুপ্রিয়।