আরও পড়ুন :"ওরা কাঁকড়ার মত, কাউকে উপরে উঠতে দেবে না...", কোন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের?
সেখানেই থামেননি বাবুল (Babul Supriyo)। একের পর এক ট্যুইটে (Tweet) তিনি জানিয়েছেন, কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, আবার দিলীপের ‘বাজে বকা’র (ভার্বাল ডায়েরিয়া) একটা নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
বিজেপি-র (Bengal BJP) সাম্প্রতির ‘বিদ্রোহে’ নতুন মাত্রা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শোনা যাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের উপর বিক্ষুব্ধদের নিয়ে একাধিক পিকনিকের আয়োজন করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘শান্তনু পিকনিক করছে তো কী হয়েছে! আমিও কাল পিকনিক করেছি। সবাই পিকনিক করছে। পিকনিকে সবাই একত্রিত হয়। পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন ছিল, ‘‘ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেন দিদি। বাবুল ফেঁসে গিয়েছিল!’’
আরও পড়ুন : স্টাইলে বাপ্পি লাহিড়ী...'যাদবপুরের ডন’, কাকে বললেন? সায়নী ঘোষের ভিডিও ভাইরাল!
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে কলকাতায় একটি কর্মসূচির শেষে মমতার গাড়িতে সওয়ার হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) । তার পর ভিক্টোরিয়ার সামনে থেমে বাংলার তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রীকে। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল চর্চা হয়েছিল সেই সময়।
শুক্রবার পর পর ট্যুইট করে বাবুল সুপ্রিয় সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছিলেন। সেই মতো আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাই। কারণ, তাঁর সাহায্য ছাড়া কখনওই আটকে থাকা জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হত না’। এর পরেই তিনি ‘ঝালমুড়ি’ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘জনতার স্বার্থে আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ১০০ ঝালমুড়ি পর্ব করতে রাজি’। এর পরেই তিনি দিলীপ ঘোষকে ‘জোকার’ উল্লেখ করে লেখেন, ‘উনি আমাকে দলে (বিজেপি) কোণঠাসা করার জন্য কোনও কসুর করেননি’।
দিলীপকে আক্রমণ করে এদিনের শেষ ট্যুইটটিতে বাবুল লিখেছেন, ‘ভাবলে বমি পায় যে, একজন বয়স্ক মানুষ যিনি রাজনীতিতে আমার চেয়ে জুনিয়র, বারংবার ওই প্রসঙ্গ টেনে আনেন এটা জেনেও যে আমি যা করেছিলাম, তা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের স্বার্থেই।’ নাম না করলেও বাবুল লিখেছেন, এমন একজন ব্যক্তির বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে থাকাটা ‘লজ্জাজনক’।