আরও পড়ুন : স্কুল বাস থেকে নেমে ঘরে ফেরেনি ছেলে... গঙ্গার পারে জুতো, ব্যাগ, সুইসাইড নোট!
এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আজ একটি ট্যুইট করে বাবুল লেখেন, "বিধায়ক হিসাবে আমার 'শপথ'-এর বিলম্বে (সবকিছু সত্ত্বেও) আমি অত্যন্ত হতাশ। বালিগঞ্জ আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত করার পর ইতিমধ্যেই দু-সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার মনে হয় এমনটা ভাবার কারণ আছে যে সম্মানীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আমার প্রতি আরেকটু দয়াপরবশ হতে পারতেন। ধৈর্য ধরে ধৈর্যের অনুশীলন করাই এখন আমার কাজ।"
advertisement
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) শপথ গ্রহণ ঘিরে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন জটিলতা। তৃণমূলের অভিযোগের মূলে রয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। বর্তমান রাজ্যপালের আমলে যে কোনও শপথগ্রহণ ঘিরেই বিতর্ক যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
সদ্যসমাপ্ত বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য ফাইল তৈরি করে রাজভবনে পাঠানো হয়। বিধানসভা থেকে রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) কাছে অনুমতি চাওয়া হয়, যাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভা থেকেই করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ যাতে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করতে পারেন। কিন্তু এই চিঠি হাতে পাওয়া মাত্রই বেঁকে বসেন রাজ্যপাল। বিধানসভাকে বেশ কিছু 'শর্ত' চাপিয়ে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন : মৃত্যুর ৭ মাস পর করোনার দ্বিতীয় ডোজ? ভুতুড়ে কাণ্ডে তুমুল শোরগোল মালদহে
কী সেই শর্ত? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, এতদিন তিনি বিধানসভা সংক্রান্ত যা যা প্রশ্ন তুলেছেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেলে তবেই তিনি ফাইলে সই করবেন। এর জন্য ব্যাখ্যা দিতে বিধানসভার সচিবকে রাজভবনে ডেকেও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। যদিও রাজ্য বিধানসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি নেই। ফলে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেও, বিধানসভায় কবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিতে পারবেন, তা ঘিরে জটিলতা কাটছেই না কোনোমতে।