তৃণমূলে যোগ দিয়েই বাবুল বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তৃণমূলের তরফে তিনি যে প্রস্তাব পেয়ে ফের রাজনীতিতে পা রেখেছেন, তা অভাবনীয়। তবে, বাবুলের মতো 'হেভিওয়েট'কে বিজেপির থেকে ছিনিয়ে এনে কোন দায়িত্ব দিতে চলেছে এ রাজ্যের শাসক দল, তা অবশ্য খোলসা করেননি এখনও পর্যন্ত আসানসোলের সাংসদ বাবুল। বুধবারই তিনি লোকসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন বলেই খবর। বাবুল নিজেও ইস্তফার কথা জোরের সঙ্গেই বলেছেন। তাই তৃণমূলে তাঁর দায়িত্ব কী হবে, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এখন প্রবল আলোড়ন।
advertisement
তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুল দাবি করেছেন, তিনি প্রথম একাদশের খেলোয়ার। অথচ বিজেপিতে তিনি সেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। অথচ তৃণমূল তাঁকে স্টেপআউট করে খেলার সুযোগ দিয়েছে। বাংলার মানুষই তাঁর কাছে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দাবি করে বাবুল বলেছেন, বরাবর মনে প্রাণে মোহনবাগানি তিনি৷ কিন্তু মোহনবাগানে (Mohun Bagan) প্রথম একাদশে সুযোগ না পেয়েই তিনি ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) নাম লিখিয়েছেন। সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)৷
সেই 'মমতা দি'র কাছে আজ গেলেন বাবুল। ঝালমুড়ি-পর্ব পেরিয়ে এবার বাস্তবেই 'দিদি'র কাছে আসানসোলের সাংসদ। বাবুলের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেআগেই অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় অনেকেই আশা করছেন, লোকসভার সাংসদের এবার ঠিকানা হতে চলেছে রাজ্যসভা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য বাবুলের 'আমি তো কলকাতাতেই সব শিফট করে নিয়েছি' মন্তব্য নিয়েও কাটাছেঁড়া করছেন। তাই রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ কোনও দফতরের দায়িত্বে বাবুল সুপ্রিয়র বসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সেক্ষেত্রে রাজ্যের একটি বিধানসভা আসন থেকে বাবুলকে জিতিয়ে আনতে হবে তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন: দেখুন তো, মানুষটিকে চিনতে পারছেন? জলে ডুবে পাড়া, হাঁটুজলে নামলেন 'দাদা'
তবে, সবই এখনও জল্পনা-কল্পনার স্তরেই। ২০১৫ সালে নজরুল মঞ্চ ফেরত বাবুলকে নিয়ে ভিক্টোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। হাতে তুলে দিয়েছিলেন ঝালমুড়ি। সেই ঝালমুড়ির স্বাদে হোক বা ঝাঁঝে, বাবুল ভিক্টোরিয়ার পথ বেয়েই আরও একটু এগিয়ে পৌঁছে গেলেন নবান্নে। রাজনীতিতে কারবারিদের কেউ কেউ গোটা ঘটনার মধ্যে ঝালমুড়িতে 'মধুরেণ সমাপয়েৎ' বলছেন।