সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল সুপ্রিয়। যে আসানসোল থেকে তাকে জিতিয়ে আনার জন্যে ২০১৪ সালের ৪মে নরেন্দ্র মোদি বলে উঠেছিলেন, "মুঝে পার্লামেন্ট মে বাবুল চাহিয়ে"। আপাতত সেই সব অতীত। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ অপেক্ষায় আছে তৃণমূলে বাবুলের নয়া ইনিংস কী হতে চলেছে (Babul Supriyo next move) তা দেখার অপেক্ষায়।
advertisement
আরও পড়ুন-'বোনের বিরুদ্ধে প্রচার করবে না...', ভবানীপুরে বাবুল ধাক্কা সামলাতে মরিয়া প্রিয়াঙ্কা
গত সপ্তাহেই আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। তাকে সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়ে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্পিতার সাংসদ পদ ছাড়ার প্রসঙ্গে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২৪ এর লক্ষ্য মাথায় রেখে, আগামী দিনে দল চাইছে জাতীয় স্তরে পরিচিত এমন কাউকে সেই স্থানে পাঠাতে। একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই নামের মধ্যে অবশ্য বাবুলের নামও ছিল। হঠাৎই শনিবার বারবেলায় বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিন তৃণমূলে। তারপরেই এই সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। বাবুল সুপ্রিয় কি তাহলে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন(Babul Supriyo next move)?
২০২০ সালে সাংসদ হওয়া অর্পিতার রাজ্যসভার মেয়াদ আছে ২০২৫ অবধি। এই মুহূর্তে তৃণমূলের হাতে যে শক্তি আছে তাতে রাজ্যসভায় বাবুলের জয় নিশ্চিত। ফলে বাবুলকে আগামী দিনে সাংসদ হিসাবেই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েই একাধিকবার opportunity শব্দটা উচ্চারণ করেছেন। সেখানেই তিনি বলেন, " বাংলার মানুষের জন্যে কাজ করার এত বড় সুযোগ"। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় দেখা যাবে বাবুল সুপ্রিয়কে। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই বাবুল সুপ্রিয় দেখা করতে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই।
সেক্ষেত্রে বাকি থাকা আসনের উপনির্বাচনের কোনও একটি আসন থেকে তাকে জিতিয়ে আনা হতে পারে৷ এই আসনের মধ্যে একমাত্র খড়দহ থেকেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় লড়বেন তা ঠিক হয়ে আছে। অন্য দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মাণিকতলার বিধায়ক সাধন পান্ডে। তিনি রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রীও। তিনি শারীরিক কারণে যদি ইস্তফা দেন তাহলে সেখানেও উপনির্বাচন হতে পারে। তবে সেই আসনে এখন থেকেই সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে রাজনৈতিক ভাবে ভীষণ সক্রিয়৷
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সদস্য হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাক্তন ব্যাঙ্কার বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য মন্ত্রীসভার মুখ হন কিনা সেদিকেও সকলের নজর আছে।