এদিন বাবুল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "বিজেপি থেকে যিনি আমাকে নৈতিকতার জ্ঞান দিচ্ছেন তাঁকে বলবো, নিজের বাড়ির অন্দর থেকে পাঠটা শুরু করতে | আর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে আমি যা করতে পেরেছি তা আগে করে দেখাতে তারপর যা বলার বলতে | কাঁকড়ায় ভরা একটি দল, যারা নিজেদের প্রকৃত কর্মীদের সাথে নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতা বেইমানি করে আর বহিরাগতদের চার্টার্ড প্লেনে চড়ায়, সেই বিজেপির জন্য ২০২৪ থেকে যেটুকু করেছি তাতেও আমি যেমন গর্বিত, আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আড়াই বছর বাকি থাকতেও বিজেপির টিকিটে বিজেপির জন্য জেতা সাংসদ পদ নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিতে পেরেও আমি সমান গর্বিত|"
advertisement
কোন অন্যায়ের প্রতিবাদের কথা বলছেন বাবুল? রাজনৈতিক মহলের মত দুটি ইঙ্গিত থাকতে পারে বাবুলের কথায়। বাবুল দল ছাড়ার কয়েক দিন আগে বিজেপি ঢেলে সাজায় মন্ত্রিসভা। সেখানে জায়গা হয়নি বাবুলের। আবার পক্ষান্তরে বিজেপিতে ভোটের আগে যে দলবদলুরা ভিড় করেছিল, তার বিরোধিতা করেও কলকে পাননি বাবুল। প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বরাবরই তাঁর সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায়। এই পরিস্থিতিই যেন বাবুলের হৃদয়কে তৃণমূলগামী করেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে সংক্রমণ একটু কমলেও ভয় দেখাচ্ছে দুই জেলা আর পজিটিভিটি রেট
বাবুল ওই পোস্টে যেন সে কথাই লিখেছেন নীতিশিক্ষার গল্পের ছলে। লিখেছেন, "ছোট বেলায় শুনেছিলাম যে, যদি নিজের মন ও হৃদয় বলে যে কেউ অন্যায় ভাবে তোমাকে দশ টাকা জরিমানা দিয়েছে তাহলে জরিমানাটা না দিয়ে আদালতে লড়াই করে, দরকার হলে একশো টাকা খরচ করে সেই জরিমানা revoke করাও |" অর্থাৎ বিজেপির অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে সাবালক বাবুল আজ যে কোনও ক্ষতিতেও রাজি। পর্যবেক্ষকরা অন্যায় জরিমানা বলতে মন্ত্রিত্ব থেকে নাম বাদ পড়াই বুঝছেন।
বাবুল স্মৃতির ঝুলি উপুর করে দিয়েছেন কার্যত ওই পোস্টে। অতীতকে মুছে ফেলতো তো চানই নি ,বরং বিজেপি সংসর্গের দিনগুলির কথা তুলে এনেছেন। লিখেছেন, "অন্যায় ভাবে করা জরিমানা, যে যাই বলুক, কখনোই তা মেনে নেবে না | মেনে নিইনি আর তাই আড়াই বছর বাকি থাকা সত্ত্বেও বিজেপির হয়ে জেতা সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে একটুও দ্বিধা করিনি | ১৯৯২ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের নিরাপদ চাকরি ছেড়ে বম্বে যাওয়ার সময়ও আমি ভয় পাইনি, আজও পাইনা |"