এদিন বাবুল লিখেছেন, 'এই ধরণের ‘ব্যক্তিত্ব' বা মন্তব্যের সাথে তো আর রোজ রোজ Deal করতে হবে না !! কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো যেটা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারবো !! নিচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম... প্রথম উক্তিটির 'সৌজন্য' শ্রী কুনাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ।'
বাবুলের ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'লোকসভা চলছে। স্পিকার বসে আছেন। সেখানে ইস্তফা না দিয়ে ফেসবুকে নাটক। রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছে নেই। দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মত। আসলে উনি গান করতেন। এখন নাটক করছেন।' বাবুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এও বলেন, বাবুল সার্কাস পার্টির সদস্য। ওদের কেউ কেউ ভোটের আগে সার্কাস দেখিয়েছেন। কেউ ভোটের পরে। নতুন সংযোজন বাবুল সুপ্রিয়।' এদিকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে যিনি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই বাবুল সুপ্রিয়র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আসানসোলের জন্য ভালো খবর নয় বলে মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রাজনীতিতে বাবুল সুপ্রিয়র মত মানুষদের থাকা প্রয়োজন বলে মত জিতেন্দ্রর।
advertisement
কিন্তু বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জল্পনা কিছুতেই থামছে না। বাবুল লিখেছেন, 'কোনো সৈন্য-সামন্ত, সরকারি টাকায় সিকিউরিটি থাকবে না | ভোটের রাজনীতিতে না থাকলে কারোর স্বার্থে তো ঘা লাগবে না তাই (হয়তো) আমার কাজও কেউ রাজনৈতিক কারণে আটকাবেনা | ' শুধু তাই নয়, দিলীপদের কটাক্ষ করে ফের তিনি লিখেছেন, 'যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন, বুঝেছেন, সমর্থন করেছেন, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, কৈফিয়ত চেয়েছেন, কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী 'ভাষার' ব্যবহার করেছেন - সবটাই শিরধার্য্য | কিন্তু আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি কাজেও তো দিতে পারি | তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কি দরকার |'
