আসলে বাবুল সুপ্রিয় চ্যাপ্টার কিছুতেই ক্লোজ হচ্ছে না। শনিবার রাতেই টেলিফোন করে তাঁকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। বিজেপি সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরে মনে ক্ষোভ জমছিল বাবুলের৷ আর তার নেপথ্যে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
কিন্তু দুবারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র এই ক্ষোভের কারণে আঙুল উঠছে দিলীপ ঘোষের দিকেও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন বাবুলের পদত্যাগ বা রাজনীতি থেকে বিদায়ের কথায় কটাক্ষ করছেন, তখন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, 'বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছাড়লে শুধু বিজেপির জন্যই ক্ষতি হবে না, বাংলার রাজনীতির জন্যও ক্ষতি হবে। আমি রাজনীতি না ছাড়ার অনুরোধ করেছি। আশা করি উনি বিজেপি-তেই থাকবেন।'
advertisement
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহারও মন্তব্য, 'আমি যখন রাজ্য সভাপতি ছিলাম, বাবুল তখন প্রথম সাংসদ হন। তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আবেগের বশে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।' একই মত জয়প্রকাশ মজুমদারের।
কিন্তু বাবুল বনাম দিলীপ লড়াই কিছুতেই যেন থামছে না। দিলীপ ঘোষকে 'শ্রীমান' বলে উল্লেখ করে বাবুল ফেসবুকে লিখেছে, 'কারণ বাবুল লিখেছেন, ‘কোনও সৈন্য–সামন্ত, সরকারি টাকায় সিকিউরিটি থাকবে না| ভোটের রাজনীতিতে না থাকলে কারও স্বার্থে তো ঘা লাগবে না তাই (হয়তো) আমার কাজও কেউ রাজনৈতিক কারণে আটকাবেনা| যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন, বুঝেছেন, সমর্থন করেছেন, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, কৈফিয়ত চেয়েছেন, কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী ভাষার' ব্যবহার করেছেন—সবটাই শিরোধার্য। কিন্তু আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি কাজেও তো দিতে পারি| তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কি দরকার|’'
