হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বি সি রায় হাসপাতালে মোট ৪০টি আইসিইউ বেড রয়েছে৷ সেগুলির সবকটিই এখন ভর্তি৷ এমন কি, আইসিইউ বেডে জায়গা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে প্রচুর সংখ্যক শিশু৷ আইসিইইউ বেড না পাওয়ায় তাদের অবস্থা আরও কাহিল হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: রক্তচাপ কমাতে পারছেন না? এই ঘরোয়া নিয়মেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ব্লাড প্রেশার
advertisement
হাসপাতালে মোট ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ৩৬টি৷ এই মুহূর্তে যে পরিমাণ রোগীর চাপ রয়েছে, তাতে আরও ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন৷ হাসপাতালের পক্ষ থেকে আরও বেশি ভেন্টিলেটরের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অনুরোধ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন সকালে আরও তিনটি ভেন্টিলেটর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
তীব্র শ্বাসকষ্টে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে জীবন বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই যত বেশি সম্ভব ভেন্টিলেটর পাঠানো যায়, তার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর৷ বর্তমানে রোগীর চাপের কথা মাথায় রেখে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে আরও বেশি সংখ্যক আইসিইউ বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷
এ দিন সকাল থেকেও বি সি রায় হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ বেসরকারি মতে, অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে একশোটিশিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, অ্যাডিনোর উপসর্গ নিয়ে ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ তার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷