সোমবার শহরের লাইফ-লাইন মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় প্রাণ ফিরে পেল অটো। যে তিন চাকার যান দৌড়তে গিয়েও ব্রেক ধরতে হচ্ছিল, সোমবার দ্রুতগামী হয়ে উঠল।মেট্রোর অনুমতি মিললেও সোমবার বিশেষ ভিড় ছিল না৷ ফলে অটোচালকরাও যাত্রী খুব একটা পাননি৷ তা সত্ত্বেও আশায় তাঁরা৷
এক অটোচালক জানাচ্ছেন, টালিগঞ্জ থেকে যাদবপুরের অটো চালিয়ে আগে পকেটে আসত ৪০০ টাকা, এখন তার পরিমাণ হয়েছে ১০০ টাকা। সোমবার মেট্রোর চাকা ঘুরতেই তার পরিমাণ বেড়ে হল দেড়শো টাকা। অটোচালক বাপি সাহার কথায়, 'এবার একটু প্যাসেঞ্জার হবে বলে মনে হচ্ছে৷ খুব দরকার যাত্রীর সংখ্যা বাড়া। যাত্রীদের আনাগোনা না বাড়লে পেট চালাবো কী করে?'
advertisement
টালিগঞ্জ থেকে কুঁদঘাটের চালকদেরও একই অবস্থা। অটোচালক দেবাশিস পাল বলছেন, 'আগে প্রতিদিন পাঁচশো টাকা আসত৷ এখন আসে দুশো টাকার একটু বেশি।' ভিন্ন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হাজরা থেকে বেহালা অটো চালকের মত। তাঁদের কাছে মেট্রোরেল শহরে বুকে উত্তর থেকে দক্ষিণ গেলেও স্কুল ও কলেজ যাত্রীদের আনাগোনা না হলে আশাপূরণ হওয়া কষ্টকর। হাজরা থেকে খিদিরপুরের চালকদের মত, এত কম রোজগারের পরেও মেট্রোরেল যে কিছু পকেট ভরাবে তা আশা করা যায়। তবে মেট্রোরেল নানা সমস্যার জন্য হয়তো যাত্রী কম প্রথম দিনে। সমস্যার সমাধান হলে অটোর যাত্রী বাড়বে বলে আশাবাদী অটোচালকরা।
SUSOBHAN BHATTACHARYA