গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা। ''ওরা ৩ জন আর আমি একা, যুঝতে পারছিলাম না। কোনও মতে ছাদ থেকে মরণঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই।'' শনিবার রাত ১১টার ঘটনা। বোড়াল রেনিয়া এলাকার। রবিবার নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের চেষ্টার মামলা রুজু।
শুরুটা শনিবার সন্ধ্যায়। সাড়ে সাতটা নাগাদ মোবাইলে ডাক বাপি মিস্ত্রির। খুব পুরোনো পরিচিত। রেনিয়া ১৩ নং ওয়ার্ডে বসে মদ্যপানের আসর। রাত একটু বাড়তেই মতলবটা ধরতে পারে সুরজ। হঠাৎ আরও ২ জন চলে আসে একতলার ছাদে।
advertisement
আরও পড়ুন- আবারও এক নতুন ক্রেডিট কার্ড, রাজ্য সরকার এগিয়ে এল বিশেষ পেশার মানুষদের সাহায্যে
পা-হাত পিছমোড়া করে ১ জন, গলায় ছুরি বসায় ১জন আর তৃতীয়জন গতিবিধি নজর রাখে। গলায় ছুরি বসাতেই কোনওমতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা সুরজ প্রতাপের।
ওয়ালেট, দামি মোবাইল, বাইক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ থানায়।এসএসকেএম হাসপাতালে গলায় স্টিচ করা হয় ৬ টি। ১০ সেমি চওড়া ক্ষতে দগদগ করছে ঘা। আপাতত সুস্থ হতেই রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের সুরজ প্রতাপের।
অভিযুক্তরা ৩ জনেই বাংলাদেশি বলে জানাচ্ছেন অভিযোগকারী।অভিযুক্তদের খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রে খবর, পুরনো ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। সুরজ প্রতাপের আইনজীবী শমীক চ্যাটার্জি জানান, পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি প্রথমে। শেষমেশ এফআইআর গ্রহণ করেছে৷
আরও পড়ুন- বিকেলের পর ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাত
খুনের চেষ্টা, চুরি সব কিছুই হয়েছে। পুলিশ সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি আইনজীবীর। কেন এমন ঘটনা? সুরজ প্রতাপ জানালেন, ''ওদের মতলব বুঝতে পারিনি। এভাবে প্রাণে মেরে আমার ব্যবসার যাবতীয় কিছু দখল করতে চেয়েছিলে ওরা। ছাদ থেকে ঝাঁপ না দিলে মৃত্যু অনিবার্য ছিল। পুলিশের তদন্তের দিকে আস্থা রেখে চলেছি।''
সূত্রের খবর, প্রোমোটিং-এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই। সুরজ প্রতাপকে সরালে মালিকানা চলে যাবে একচেটিয়া বাপির দলবলের হাতে। তাই পরিকল্পিত খুনের চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।